
হার্ট অ্যাটাকের আগেও শরীর কিছু সতর্ক সংকেত পাঠায়, যা যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া সম্ভব। পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে উপসর্গের কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে। নীচে হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলো:
১. বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
বুকে মাঝখানে বা বাঁ পাশে চাপ, জ্বালা বা ব্যথার অনুভূতি হতে পারে, যা কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হতে পারে অথবা বারবার আসতে পারে। কখনো কখনো, ব্যথা কোমর, পিঠ, ঘাড়, কাঁধ বা বাহুতেও ছড়িয়ে পড়ে।
২. শ্বাসকষ্ট
বুকে ব্যথা থাকুক বা না থাকুক, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। বিশ্রামে থাকা অবস্থায় বা সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট অনুভূত হতে পারে।
৩. হাত, কাঁধ, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা
বুকে ব্যথার পাশাপাশি বাঁ হাত, পিঠ, কাঁধ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে, যা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এবং অনেক সময় উপেক্ষিত হয়।
৪. অতিরিক্ত ক্লান্তি
অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভূতি হওয়া, বিশেষ করে সাধারণ কাজ করার সময়। এই লক্ষণটি নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৫. মাথা ঘোরা বা বমিভাব
মাথা ঘুরতে পারে বা বমি আসার অনুভূতি হতে পারে, যা কখনো কখনো বুকজ্বালা বা এসিডিটির মতোও অনুভূত হয়।
৬. ঠান্ডা ঘাম
অকারণে শরীর থেকে ঠান্ডা ঘাম বের হতে পারে, যা রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
৭. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (Arrhythmia)
হার্টবিট খুব দ্রুত বা অনিয়মিত হতে পারে, অনেক সময় মনে হয় হৃদপিণ্ড লাফাচ্ছে বা দম বন্ধ হয়ে আসছে।
কী করবেন?
যদি উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে যদি কারো বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয় বা শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়, তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। অ্যাসিডিটি মনে করে উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না, কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা (কম নুন, কম ফ্যাট এবং বেশি ফল-সবজি খাওয়া)
নিয়মিত ব্যায়াম করা (প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা)
ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা
অতিরিক্ত স্ট্রেস এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
শরীরের এসব সংকেত উপেক্ষা না করে, সময়মতো সতর্ক থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
রাজু