
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই বন্ধুর ছদ্মবেশে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আপনার মঙ্গল কামনা করেন না। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আপনার জীবনে। এমন বিষাক্ত (টক্সিক) মানুষের সাথে কীভাবে আচরণ করবেন, তা জানতে পারবেন এই লেখায়।
*সীমানা নির্ধারণ করুন
যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনার জন্য ক্ষতিকর, তাহলে তার সঙ্গে সুস্পষ্ট সীমারেখা টেনে দিন। কী ধরনের আচরণ আপনি মেনে নেবেন আর কী মেনে নেবেন না, তা নির্ধারণ করুন। এতে তাদের নেতিবাচক মনোভাব আপনার ওপর কম প্রভাব ফেলবে।
*সম্পর্ক কমিয়ে দিন
যতটা সম্ভব বিষাক্ত মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, তারা সাধারণত অপ্রয়োজনীয় নাটক তৈরি করে এবং ঝগড়া বাঁধানোর চেষ্টা করে। তাই শান্ত থাকুন এবং তাদের প্রতি কম প্রতিক্রিয়া জানান।
*মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকুন
তাদের কথাবার্তা বা আচরণ খুব বেশি ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার দরকার নেই। মনে রাখবেন, তাদের নেতিবাচক মনোভাব তাদের নিজস্ব সমস্যা, আপনার নয়।
*গ্রে রক পদ্ধতি ব্যবহার করুন
যদি কেউ খুব বেশি নিয়ন্ত্রণকারী বা কৌশলী হয়, তাহলে "গ্রে রক" পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। অর্থাৎ, তাদের সঙ্গে যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ, একঘেয়ে এবং বিরক্তিকর উপায়ে কথা বলুন, যাতে তারা আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
*সাহায্যকারী ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে থাকুন
বিষাক্ত মানুষের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটান, যারা আপনাকে মানসিকভাবে সমর্থন দেয় এবং আপনাকে উৎসাহিত করে।
*নিজের যত্ন নিন
আপনার মানসিক শান্তি বজায় রাখতে আত্ম-সচেতনতা ও যত্ন নেওয়া জরুরি। নিজের ভালো থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করুন এবং নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
*দৃঢ়ভাবে কথা বলুন
টক্সিক মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসী ও স্পষ্টভাষী হোন। তবে আগ্রাসী বা অতিরিক্ত নরম হওয়া যাবে না, কারণ দুটিই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে।
*যখন প্রয়োজন, সম্পর্ক ছিন্ন করুন
যদি কোনো বিষাক্ত সম্পর্ক বা ব্যক্তি আপনার মানসিক শান্তি নষ্ট করে দেয়, তাহলে তাদের থেকে দূরে সরে আসাই শ্রেয়। এতে আপনার মানসিক ও আবেগিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
বিষাক্ত মানুষদের সঙ্গে কৌশলী আচরণ করলে তাদের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই সুস্থ মানসিকতার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং নিজের সুখকে অগ্রাধিকার দিন।
রিফাত