
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয় কফি শুধু শক্তি বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। গবেষণা-সমর্থিত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা ও কফি পানের সঠিক সময় নিয়ে এই প্রতিবেদন।
কফির ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. শক্তি বৃদ্ধি করে
ক্যাফেইন ক্লান্তি দূর করে এবং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে সতর্কতা বৃদ্ধি করে।
২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
কফি স্মরণশক্তি, মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি বাড়িয়ে ফোকাস ধরে রাখতে সহায়তা করে।
৩. হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে
পরিমিত পরিমাণে কফি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়।
৪. টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, কফি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. আলঝেইমার প্রতিরোধে সহায়ক
নিয়মিত কফি পানের সঙ্গে আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমার সম্পর্ক রয়েছে।
৬. পারকিনসন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
ক্যাফেইন মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করতে সহায়তা করে এবং পারকিনসন রোগের সম্ভাবনা কমায়।
৭. মন ভালো রাখে ও বিষণ্নতা দূর করে
কফি ডোপামিন ও সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে মানসিক অবস্থা উন্নত করে ও বিষণ্নতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. ওজন কমাতে সহায়তা করে
ক্যাফেইন বিপাক হার বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।
৯. শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়
ওয়ার্কআউটের আগে কফি পান করলে এড্রেনালিন বৃদ্ধি পায়, যা সহনশীলতা ও শক্তি বাড়ায়।
১০. লিভারের জন্য উপকারী
গবেষণায় দেখা গেছে, কফি ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
কফি পান করার সেরা সময়
সকাল (৯-১১টা): শরীরের স্বাভাবিক কর্টিসল মাত্রা বজায় রেখে শক্তি বাড়ায়।
ওয়ার্কআউটের আগে: স্ট্যামিনা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খাওয়ার পর: হজমে সহায়তা করে ও রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে।
রাতে পরিহার করুন: ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
সঠিক সময়ে কফি পান করলে এর উপকারিতা আরও বেশি উপভোগ করা সম্ভব। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে উদ্বেগ, অনিদ্রা ও হৃদস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে, তাই পরিমিত মাত্রায় পান করাই উত্তম।
ফারুক