ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১

মনোবিজ্ঞানিদের মতে, যে ৭ টি বিষয় দেখেই বুঝবেন যে সে ব্যক্তি সৎ কিনা 

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:৩৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

মনোবিজ্ঞানিদের মতে, যে ৭ টি বিষয় দেখেই বুঝবেন যে সে ব্যক্তি সৎ কিনা 

 


আজকের যুগে, যেখানে বিশ্বাস একটি বড় প্রশ্ন, সেখানে সংকেত বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন ব্যক্তি আসলেই কতটা সৎ, তা তার কথার চেয়ে তার শারীরিক ভঙ্গিমা বেশি প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, ব্যবসায়িক বৈঠক বা জনসম্মুখে কারও আন্তরিকতা বোঝার জন্য এই সাতটি সংকেত আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

১. স্বাভাবিক ও আরামদায়ক চোখের যোগাযোগ
সৎ মানুষরা স্বাভাবিক চোখের যোগাযোগ বজায় রাখে, তবে তারা অতিরিক্ত তাকিয়ে থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, আন্তরিক ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবে চোখের পলক ফেলে এবং মাঝে মাঝে চোখ সরিয়ে নেয়, যা স্বচ্ছন্দতা ও প্রকৃত আন্তরিকতার পরিচায়ক।

২. খোলা হাতের অঙ্গভঙ্গি
যখন কেউ কথা বলার সময় হাতের তালু উন্মুক্ত রাখে, তখন এটি সততা ও স্বচ্ছতার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা লুকানোর কিছু রাখে না, তারা সাধারণত হাত খোলা রাখে, পকেটে বা পিছনে লুকিয়ে রাখে না।

৩. স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ মুখের অভিব্যক্তি
একটি প্রকৃত হাসি আন্তরিকতার অন্যতম চিহ্ন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ‘ডুচেন স্মাইল’ বা প্রকৃত হাসিতে চোখের চারপাশে ভাঁজ পড়ে। অন্যদিকে, কৃত্রিম বা মিথ্যা হাসি কেবল ঠোঁটের নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধ থাকে, যা সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

৪. হালকা অনুকরণ বা মিররিং
আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন, কেউ আপনার অঙ্গভঙ্গি বা ভঙ্গি অনুকরণ করছে? এটি সাধারণত সৎ ও সহানুভূতিশীল মানুষের স্বাভাবিক আচরণ, যা পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার প্রতীক। তবে, অত্যধিক অনুকরণ অনেক সময় প্রতারণার কৌশলও হতে পারে, তাই প্রসঙ্গ বুঝতে হবে।

৫. খোলা ও স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিমা
আন্তরিক মানুষরা সাধারণত খোলা ভঙ্গিমা গ্রহণ করে, অর্থাৎ তারা হাত বা পা গুটিয়ে রাখে না বা কুঁজো হয়ে বসে থাকে না। তারা কথোপকথনের সময় সামান্য সামনে ঝুঁকে থাকে, যা তাদের আগ্রহ ও আন্তরিকতার প্রকাশ করে।

৬. স্বাভাবিক ও স্থির কণ্ঠস্বর
কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর তার সততার বড় ইঙ্গিত বহন করে। যারা স্বাভাবিকভাবে ও ধীরস্থির কণ্ঠে কথা বলে, তাদের সাধারণত বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হয়। হঠাৎ স্বরের ওঠানামা, জড়তা বা কণ্ঠের কৃত্রিম পরিবর্তন নার্ভাসনেস বা মিথ্যাচারের ইঙ্গিত দিতে পারে।

৭.  মাইক্রো এক্সপ্রেশন বা মুখাবয়ব পরিবর্তন
মাইক্রো এক্সপ্রেশন হলো মুহূর্তের জন্য মুখের অভিব্যক্তির পরিবর্তন, যা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটি ব্যক্তির সত্যিকারের আবেগ প্রকাশ করে, যেমন হঠাৎ অবাক হওয়া বা চিন্তার ছাপ পড়া। মিথ্যাবাদীরা সাধারণত এই সংকেত লুকানোর চেষ্টা করে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
আজকের যুগে যেখানে ভুল তথ্য ও সামাজিক অবিশ্বাস ব্যাপক, সেখানে এই দেহভাষার সংকেত বোঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কারও সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ব্যবসায়িক আলোচনা বা জনসমক্ষে কোনো ব্যক্তির আন্তরিকতা বিচার করার জন্য এই অঙ্গভঙ্গিগুলো লক্ষ্য করা দরকার।

সাজিদ

×