
ছবি: সংগৃহীত
লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন, বিপাক প্রক্রিয়া ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ফাস্টফুড গ্রহণ, অ্যালকোহল সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে লিভারের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।
বিশ্বখ্যাত হেপাটোলজিস্ট ড. জোয়েল কাহান বলেন, “সঠিক খাদ্যাভ্যাস লিভারের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লিভার নিজেই নিজেকে পুনর্গঠন করতে পারে, তবে এর জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনযাত্রা।”
চলুন জেনে নিই, লিভার পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে কোন ৮টি খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত—
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
লিভারের কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
২. সবুজ শাক-সবজি বেশি খান
ব্রোকলি, পালংশাক, বিট, গাজরসহ বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার লিভারের জন্য উপকারী।
৩. লেবু ও টকজাতীয় ফল খান
লেবু, কমলা, আঙুরের মতো টকজাতীয় ফলে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের এনজাইম কার্যক্রমকে উন্নত করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
৪. হলুদ (টারমেরিক) ও রসুন খেতে পারেন
হলুদে থাকা কারকিউমিন লিভারের প্রদাহ কমায় এবং এটি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। অন্যদিকে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন লিভারের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন
ব্লুবেরি, আঙুর, অ্যাভোকাডো, বাদাম, এবং অলিভ অয়েলের মতো খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
৬. চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড ফুড লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সফট ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
৭. পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করুন
ডিম, মাছ, মুরগির মাংস এবং বাদামজাতীয় খাবার প্রোটিনের ভালো উৎস। এগুলো লিভারের কোষ মেরামত ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৮. গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন নামক উপাদান লিভার ফাংশন উন্নত করে এবং ফ্যাট জমা প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করা ভালো অভ্যাস হতে পারে।
আসিফ