
আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A ও C। একটি আপেলের খোসায় গড়ে ৮.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন C থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় জানা গেছে, আপেলের খোসায় ট্রাইটারপেনয়েড নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা ক্যানসার কোষ বিনাশ করতে সক্ষম। এছাড়া, আপেলের খোসায় দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবারও রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া, আপেলের খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কোয়ারসেটিন নামক একটি ফ্ল্যাভনয়েডও আপেলের খোসায় পাওয়া যায়, যা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত পাঁচটি বা তার বেশি আপেল খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
যাদের ওজন কমানোর প্রয়োজন, তাদের জন্য খোসা সহ আপেল খাওয়া উপকারী। কারণ আপেলের খোসায় ইউরসোলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে।
তবে, বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ, বাজারে বা দোকানে রাখা আপেলের খোসায় ওয়্যাক্স বা মোম মাখানো থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, আপেলের ফলন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক ও কীটনাশক ফলের গুণগত মান কমিয়ে দেয়, এবং খোসায় কালো দাগ বা ফুটো থাকলে তা খাওয়া উচিত নয়।
এছাড়া, যদি আপেল খোসাসহ খেতে চান, তবে খাওয়ার আগে সেটি ভালো করে দুই থেকে তিন বার হালকা গরম জলে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
রাজু