ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না আমপাতার কার্যকারী ব্যবহারে

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৭:৩৯, ২৩ মার্চ ২০২৫

ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না  আমপাতার কার্যকারী ব্যবহারে

ছবি: সংগৃহীত

ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ আম পাতা শরীরের নানা রোগের দাওয়াই হতে পারে। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী আম পাতা।

আমের দিন আসছে। আম তো খাবেনই, এর পাতারও যে কত উপকার আছে তা জানেন কি? ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ আম পাতা শরীরের নানা রোগের দাওয়াই হতে পারে। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী আমপাতা।

আমপাতায় আছে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই। খনিজের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন। আম পাতা ত্বকের কোষগুলি সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এত আছে ফ্ল্যাভনয়েড ও পলিফেনলের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

কেবল তাই নয়, ব্রণ-ফুস্কুড়ি,র‌্যাশ সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্যও আমপাতা দিয়ে তৈরি ফেস-মাস্ক কার্যকরী হতে পারে। আমপাতায় থাকা পলিফেনলের প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ দূর করতে পারে। ফলে ত্বকের যে কোনও সংক্রমণজনিত অসুখ সারাতে আম পাতা কাজে আসতে পারে।

 ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন আম পাতা?

ত্বকে ব্রণ থাকলে :

৪-৫টি আম পাতা নিয়ে গ্যাসের আঁচে পুড়িয়ে নিন। এ বার পোড়া পাতার ছাই নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এতে জল মেশাবেন না। এ বার এই মিশ্রণ ত্বকের ব্রণ, ফুস্কুড়ি ও র‌্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তার পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করলে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।

শুষ্ক ত্বকের মাস্ক :

৪-৫টি টাটকা আম পাতা নিয়ে অল্প জলে বেটে নিন। এর সঙ্গে ২ চা চামচ টক দই ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই ফেস-মাস্ক মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে উষ্ণ জলে ধুয়ে নিতে হবে। ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে গেলে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন এই মাস্ক।

আম পাতার টোনার :

৫-৬টি টাটকা আম পাতা নিয়ে ২-৩ কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। আম পাতা ফোটানো জল ছেঁকে নিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন। এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজলও মিশিয়ে নিতে পারেন। যে কোনও ত্বকের জন্যই কার্যকরী হবে এই টোনার।

মেহেদী হাসান

×