
ছবি: সংগৃহীত
শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক শিশু নীরবে আত্ম-সন্দেহ এবং ব্যর্থতার ভয়ের সাথে লড়াই করে। লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারলে বাবা-মা তাদের সন্তানের আত্মসম্মান এবং স্থিতিস্থাপকতা লালন করতে পারে।
এখানে সাতটি মূল সূচক রয়েছে:
১. নতুন চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে চলা
যদি আপনার সন্তান নতুন কাজ করতে দ্বিধা করে অথবা চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে চলে, তাহলে সে ব্যর্থতার ভয় পেতে পারে। আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রায়শই নতুন অভিজ্ঞতা অন্বেষণ করার পরিবর্তে নিরাপদ অঞ্চলে আটকে থাকার দিকে পরিচালিত করে।
২. ঘন ঘন নেতিবাচক আত্মকথা "আমি যথেষ্ট ভালো নই" অথবা "আমি এটা করতে পারি না"
এই বাক্যাংশগুলো আত্মবিশ্বাসের অভাব নির্দেশ করে। আত্মবিশ্বাসের সমস্যাযুক্ত শিশুরা প্রায়শই তাদের ক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করে এবং নিজেদের প্রকাশ করতে দ্বিধা করে।
৩. ভুলের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো
যে শিশু ছোট ছোট ভুলের জন্য অত্যন্ত বিরক্ত হয় অথবা সংশোধনের ভয় পায়, সে হয়তো পরিপূর্ণতাবাদ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবের লক্ষণগুলোর সাথে লড়াই করছে।
৪. অন্যদের অনুমোদনের উপর খুব বেশি নির্ভর করা
যেসব শিশুরা ক্রমাগত বাবা-মা, শিক্ষক বা বন্ধুদের কাছ থেকে অনুমোদন চায়, তাদের নিজস্ব বিচারবুদ্ধি নিয়ে সন্দেহ হতে পারে। সুস্থ আত্মবিশ্বাস আসে কেবল বাইরের প্রশংসা থেকে নয়, নিজের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখার মাধ্যমে।
৫. বন্ধু তৈরিতে অসুবিধা
কম আত্মবিশ্বাস সামাজিক মিথস্ক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলতে পারে। যে শিশুরা দলে যোগ দিতে দ্বিধা করে, চোখের যোগাযোগ এড়িয়ে চলে, অথবা তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে সমস্যা হয়, তাদের সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।
৬. খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেওয়া
আত্মবিশ্বাসী বাচ্চারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ায়, অন্যদিকে যাদের আত্মসম্মান কম তারা ব্যর্থতার ভয়ে সহজেই হাল ছেড়ে দেয়। যদি আপনার বাচ্চা প্রথম সমস্যার লক্ষণেই হাল ছেড়ে দেয়, তাহলে এটি স্থিতিস্থাপকতার অভাবের ইঙ্গিত দিতে পারে।
৭. অতিরিক্ত লাজুকতা বা প্রত্যাহার
যদিও কিছু শিশু স্বভাবতই অন্তর্মুখী হয়, চরম লাজুকতা বা মিথস্ক্রিয়া এড়িয়ে চলা আত্মবিশ্বাসের লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। যেসব শিশু আলোচনা থেকে সরে আসে বা মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করে তাদের উৎসাহের প্রয়োজন হতে পারে।
মায়মুনা