
ছবি: সংগৃহীত
ওজন বাড়ানোর জন্য খেজুর একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রাকৃতিক খাদ্য। এতে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। বিশেষ করে যারা সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে একটি আদর্শ খাদ্য উপাদান।
১. খেজুরের প্রধান পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
প্রতিটি খেজুরে গড়ে ২০ ক্যালোরি থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। এছাড়া, এতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকায় এটি তাত্ক্ষণিক এনার্জি সরবরাহ করে। খেজুরে প্রোটিন, ফাইবার ও বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি৬, কে এবং ফলেট রয়েছে, যা শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুরের ভূমিকা
খেজুরে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকায় এটি হজমক্রিয়া উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
৩. খেজুর ও দুধের শক্তিশালী সংমিশ্রণ
খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে এটি শক্তিবর্ধক ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হজমের জন্যও উপকারী। দুধের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম খেজুরের সঙ্গে মিশে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং ওজন বৃদ্ধির সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪. বাস্তব অভিজ্ঞতা: অনিলের ওজন বৃদ্ধির সাফল্যগাঁথা
২২ বছর বয়সী অনিল, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কম ওজন ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছিলেন, তার পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন খেজুর ও দুধ খাওয়ার পরিকল্পনা অনুসরণ করেন। ৬ সপ্তাহের মধ্যে তিনি ৫ কেজি ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন এবং তার শারীরিক ও মানসিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
৫. সুস্থ ওজন বৃদ্ধির জন্য খেজুরকে ডায়েটের অংশ করুন
যারা সুস্থভাবে ওজন বাড়াতে চান, তারা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর ও পুষ্টিকর খাবার যোগ করতে পারেন। বিশেষ করে সকালে দুধের সঙ্গে খেজুর খাওয়া, স্ন্যাকস হিসেবে খেজুর ও বাদাম গ্রহণ করা এবং ব্যালান্সড ডায়েট অনুসরণ করলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব।
ফারুক