
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি শুধুমাত্র জেনেটিক্স নয়, বরং প্রতিদিনের অভ্যাস ও জীবনধারা। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করলেই সুস্থ জীবন সম্ভব। নব্বই বছর বয়সী এক চিকিৎসক দম্পতি জানিয়েছেন সুস্থ থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
১. পুষ্টিকর খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
ফলমূল, শাকসবজি, হোল গ্রেইন, লীন প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি দীর্ঘায়ু বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অপরদিকে, অতিরিক্ত লাল মাংস, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম, সাইক্লিং ও সাঁতার কাটা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, পেশি ও হাড় মজবুত রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
৩. মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মেডিটেশন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, শখের কাজ করা ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো মানসিক প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
৭-৯ ঘণ্টা ঘুম সুস্থ দেহ ও মনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি অনুসরণ করা, রাতে ক্যাফেইন ও স্ক্রিন টাইম কমানো এবং একটি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করা ভালো ঘুম নিশ্চিত করে।
৫. ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
মানসিক প্রশান্তি ও সুখী জীবনযাপনের জন্য ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও কৃতজ্ঞতা চর্চা করা জরুরি। প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে অর্জনের মাধ্যমে আনন্দ পাওয়া, হাসিখুশি থাকা এবং নেতিবাচক পরিবেশ এড়িয়ে চলাই সুস্থ থাকার অন্যতম উপায়।
এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন নব্বই বছর বয়সী চিকিৎসক দম্পতি।
ফারুক