
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র এক বছরে ১০০ পাউন্ড (৪৫ কেজি) ওজন কমিয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী মাইক অ্যান্ডারসন। ২৫৫ পাউন্ড ওজন থেকে ১৫৫ পাউন্ডে নামিয়ে আনতে গিয়ে তাকে অতিক্রম করতে হয়েছে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। তার এই বাস্তব অভিজ্ঞতা স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প।
১. ওজন বৃদ্ধির কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন মাইক
ওজন বৃদ্ধির ফলে উচ্চ রক্তচাপ, জয়েন্টে ব্যথা ও অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ফাস্ট ফুড ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস তাকে আরও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারায় নিয়ে যাচ্ছিল। মানসিকভাবে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেন।
২. কীভাবে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন?
মাইকের ডাক্তার তাকে সতর্ক করেন যে, তার বর্তমান জীবনধারা তাকে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলছে। এছাড়া, নিজের শারীরিক সুস্থতা ও পরিবারের অনুপ্রেরণায় তিনি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন যাত্রা
প্রথম তিন মাসে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করে তিনি স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ধাপে ধাপে খাবারে শৃঙ্খলা আনেন—প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে লীন প্রোটিন, শাকসবজি ও হোল গ্রেইন গ্রহণ করেন। পরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ও নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে চিট মিল অন্তর্ভুক্ত করেন।
৪. ধাপে ধাপে শরীরচর্চার রুটিন তৈরি করেন
প্রথম দিকে ৩০ মিনিট হাঁটা দিয়ে শুরু করলেও পরে তিনি দৌড়ানো, সাইক্লিং ও ভারোত্তোলন শুরু করেন। এক বছর পরে তিনি হাই-ইনটেনসিটি ট্রেনিং ও অ্যাডভান্সড স্ট্রেন্থ ট্রেনিংয়ের মতো কঠোর ব্যায়ামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন।
৫. চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের গল্প
খাবারের প্রতি আকর্ষণ, ওজন কমার ধীরগতি ও সময় ব্যবস্থাপনার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হলেও তিনি কখনো থেমে যাননি। ধৈর্য, পরিকল্পনা ও পরিবারের সমর্থন নিয়ে তিনি তার লক্ষ্য অর্জন করেছেন।
মাইকের গল্প প্রমাণ করে যে সঠিক পরিকল্পনা, অধ্যবসায় এবং জীবনধারায় পরিবর্তন আনলেই স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবন অর্জন সম্ভব।
ফারুক