ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

যে ১০ টি কাজ ব্রেনের স্বাস্থ্য বাড়ায়, বুদ্ধিকে তীক্ষ্ণ করে

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১১:৫৬, ২২ মার্চ ২০২৫

যে ১০ টি কাজ ব্রেনের স্বাস্থ্য বাড়ায়, বুদ্ধিকে তীক্ষ্ণ করে


আজকের ব্যস্ততা এবং চাপে ভরা জীবনে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মানসিক সতেজতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব এবং মানসিক অবনতি রোধ করা যায়। এখানে ১০টি কার্যকলাপ রয়েছে যা আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করবে এবং বুদ্ধিকে তীক্ষ্ণ করে।

১. শারীরচর্চা

নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মানসিক দক্ষতা উন্নত করে। হাঁটা, যোগব্যায়াম, এবং ওজন প্রশিক্ষণের মতো কার্যকলাপ মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

২. আজীবন শিখতে থাকুন

নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন, যেমন বই পড়া, নতুন ভাষা শেখা বা নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করা, যা মস্তিষ্কের নিউরাল সংযোগ শক্তিশালী করে।

৩. ব্রেন-বুস্টিং গেম খেলুন

পাজল সমাধান করা, দাবা খেলা, বা কৌশলভিত্তিক ভিডিও গেম খেললে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং মানসিক চটপটতা বৃদ্ধি পায়।

৪. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন

সক্রিয় সামাজিক জীবন বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো, ক্লাবে যোগদান করা বা পরিবারের সাথে সংযোগ বজায় রাখা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা গুণগত ঘুম প্রয়োজন, যা মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং স্মৃতি সংরক্ষণে সহায়ক।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণ করুন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার—যেমন মাছ, বাদাম, বেরি এবং সবুজ শাকসবজি—মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. ধ্যান ও মানসিক প্রশান্তির চর্চা করুন

অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। ধ্যান এবং মানসিক প্রশান্তির অনুশীলন স্ট্রেস কমাতে, মনোযোগ উন্নত করতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৮. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীরে পানির অভাব মানসিক স্বচ্ছতা এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে মস্তিষ্ক সজাগ ও সক্রিয় থাকে।

৯. সংগীত শুনুন এবং বাদ্যযন্ত্র শিখুন

সংগীত মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় করে, যা মেজাজ, স্মৃতিশক্তি এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। বাদ্যযন্ত্র শেখা মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।

১০. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন

ভ্রমণ, নতুন রান্না শেখা বা সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরাল পথ সক্রিয় রাখা যায় এবং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

 

এই সহজ কিন্তু কার্যকরী অভ্যাসগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সহজ হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শারীরিক সক্রিয়তা, মানসিক অনুশীলন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার সংমিশ্রণ দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যারা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে চান, তাদের জন্য ছোট পদক্ষেপই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আজ থেকেই শুরু করুন এবং আপনার মস্তিষ্কের যত্ন নিন!

সাজিদ

×