
ছবি: সংগৃহীত
সকালে যেসব ত্বকের যত্ন করবেন সেক্ষেত্রে কোনো বাড়তি অর্থ বা সময় ব্যয় করতে হবে না, বরং সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই সুন্দর আর স্বাস্থ্যজ্জল হয়ে উঠবে। আর এই চর্চাটি শুরু করতে হবে একদম সকাল থেকে।
ত্বক সুন্দর রাখতে সকালে যেসকল অভ্যাস গড়ে তুলবেন:
১. ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি পান করুন। সাথে দিন অর্ধেকটা লেবু ও সামান্য পরিমাণে মধু। এই পানীয় ত্বকের টক্সিন বা সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ দূর করবে, দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখবে এবং ত্বককে একদম গভীর থেকে পরিষ্কার করবে। বেড টি বা নাস্তার আগে কফি আপাতত এড়িয়ে চলুন।
২. দুপুর বিকাল বা রাতে ব্যায়াম করলে মাঝেমধ্যেই সেটি মিস হয়ে যেতে পারে। শরীরচর্চা করার সবচেয়ে ভালো সময় সকালবেলা। ব্যায়ামের ফলে শরীরে ঘাম হয়। ঘামের ফলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে ত্বক থাকে ভেতর থেকে সুন্দর। ভারী ব্যায়াম করতে না চাইলে কার্ডিও করতে পারেন, সাইককেলিং করতে পারেন এমনকি সকালের তাজা বাতাসে ২০ মিনিটের মতো হাঁটলেও চমৎকার উপকার পাওয়া যায়।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে হয়তো মুখে অয়েল বেজড প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছিলেন। তাই ঘুম থেকে উঠে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সকালে প্রথমেই ভালো একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করা উচিত নয়। সপ্তাহে এক বা দুইদিন প্রাকৃতিক কোনো স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: চালের গুঁড়া, কফি ইত্যাদি।
৪. ত্বক পরিষ্কার করে সারাদিনের জন্য একটি টোনার বা জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিন।
৫. শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যা ই হোক, ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে হবে। নাহলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যাবে, রোদে পুড়ে দাগছোপ বসে যাবে এবং চামড়া কুঁচকে যাবে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
৬. তাড়াহুড়ায় সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না। ফল, জুস আর বাদাম হোক আপনার সকালের নাস্তা। ওটস, দুধ আর ফল মিশিয়ে স্মুদির মতো বানিয়ে নিতে পারেন।
৭. সারাদিন ত্বকে পানির ব্যালেন্স ঠিক রাখতে গ্রীন টি বা ডাবের পানি, চিয়াসিড বা ডিটক্স ওয়াটার রাখতে পারেন প্রতিদিনের নাস্তার তালিকায়।
৮. একদম শুরুতেই চা বা কফি খাবেন না, এতে ত্বক শুষ্ক ও নির্জীব হয়ে পড়ে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাসগুলো মেনে চলুন।
মায়মুনা