ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

ঘুমের মধ্যে বারবার জেগে ওঠেন? মনোবিজ্ঞানের মতে সন্ধ্যার ৭ অভ্যাস দায়ী!

প্রকাশিত: ০২:৪২, ২২ মার্চ ২০২৫

ঘুমের মধ্যে বারবার জেগে ওঠেন? মনোবিজ্ঞানের মতে সন্ধ্যার ৭ অভ্যাস দায়ী!

ছবি: সংগৃহীত

নিম্নলিখিত খবরে এমন সাতটি সন্ধ্যার অভ্যাস তুলে ধরা হয়েছে, যা রাতে বারবার জেগে ওঠার সমস্যার কারণ হতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করলে গভীর ও প্রশান্তিদায়ক ঘুম পাওয়া সম্ভব।

১) রাতের দেরী স্ক্রিন ব্যবহার:
স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে, শরীরকে “দিন” হিসেবে ভুল সংকেত পাঠানো হয়, যা ঘুমাতে সমস্যা সৃষ্টি করে।

২) শিথিলতা রুটিন না মানা:
দীর্ঘদিনের কাজের পর হঠাৎ ঘুমানোর চেষ্টা করলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত উদ্দীপনা থেকে ঘুম বিঘ্নিত হয়। ঘুমের আগে ধীরে ধীরে মন ও শরীরকে শিথিল করার জন্য কিছু সময় বের করা উচিত, যেমন: হালকা ব্যায়াম, বই পড়া বা সুরম্য সঙ্গীত শোনা।

৩) রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস:
দেরিতে খাবার গ্রহণ করলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং কফেইন বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার থেকে শক্তির উচ্চমাত্রা সৃষ্টি হয়ে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

৪) পর্যাপ্ত শারীরিক কর্মকাণ্ডের অভাব:
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটার মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক রিদম বজায় রাখা যায়। তবে, ঘুমানোর খুব কাছাকাছি ভারী ব্যায়াম করা উচিৎ নয়, কারণ এতে শরীর অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

৫) ঘরের অগোছালো পরিবেশ:
পরিষ্কার ও সুশৃঙ্খল ঘুমের স্থান মনের প্রশান্তির জন্য অপরিহার্য। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম থাকলে তা মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং ঘুমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

৬) ঘুম নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা:
পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়ার চিন্তায় অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি হলে তা নিজেই ঘুমকে বিঘ্নিত করে। চিন্তার চাপ কমাতে রিলাক্সেশন টেকনিক যেমন গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান বা মননশীল ক্রিয়াকলাপ অনুসরণ করা যেতে পারে।

৭) নিয়মিত রুটিনের অভাব:
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জেগে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি ঠিক রাখে। নিয়মিত রুটিন মেনে চললে ঘুমের মান ও গুণগত মান উন্নত হয়।

রিফাত

×