
প্রতীকী ছবি
আপনি হয়তো এমন একজন নারীকে ভালোবেসে ফেলেছেন, যাকে আপনি আদর্শ জীবনসঙ্গী মনে করেছিলেন। তবে সম্পর্কের মাঝপথে আপনি তার আচরণে এমন কিছু লক্ষ করেছেন, যার ফলে তাকে নিয়ে আপনার সন্দেহ তৈরি হচ্ছে বা আপনি শঙ্কিত অনুভব করছেন।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই ৮টি আচরণ যা সাধারণত নিম্ন শ্রেণির নারীরদের মধ্যে দেখা যায় বা এসব আচরণ দেখে ধরে নেয়া যায় তিনি নিম্ন শ্রেণির-
১) আত্ম-সচেতনতার অভাব
যখন কেউ নিজের ভুল বা সীমাবদ্ধতা বুঝতে না পেরে সবসময় অন্যকে দোষ দেয়। এর ফলে তিনি পুনরায় একই ভুল করেন এবং তার আচরণ নিয়ে বিপত্তির সৃষ্টি হয়।
২) সমালোচনা গ্রহণ করতে না পারা
যখন একজন নারী সমালোচনা নিতে পারেন না, তখন তা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অনেক সময় অল্পতেই অস্থির বা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত রেগে যান।
৩) সহানুভূতির অভাব
যখন কেউ আপনার অনুভূতি বুঝতে পারেন না বা আপনার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে সক্ষম হন না, তখন আপনি নিজেকে একাকী বা অবহেলিত মনে করতে পারেন। সম্পর্কের মধ্যে সমর্থন এবং বোঝাপড়া খুবই জরুরি।
৪) সততার অভাব
মিথ্যা বলা পপরস্পরের প্রতি আস্থা নষ্ট করে। যদি কেউ নিয়মিত মিথ্যা বলে, তবে আপনার সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যায় এবং সন্দেহ সৃষ্টি হতে থাকে।
৫) অতীতের বোঝা
যখন কেউ তার পুরনো সম্পর্ক বা সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারে না, তখন তা বর্তমান সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে। অতীতের স্মৃতি বা অভ্যস তার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৬) নিজের মনোভাব অন্যের ওপর চাপান
এটি এমন একটি আচরণ যেখানে কেউ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বা আপনার অনুভূতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায়। এভাবে মানসিক চাপ তৈরি করে বা ভুল বুঝিয়ে আপনাকে দোষী বানানো হয়।
৭) উদ্যোগের অভাব
নিজে কিছু করতে চায় না বা কোনো লক্ষ্য ছাড়াই জীবন কাটায়। সবসময় আপনার ওপর নির্ভরশীল থাকে এবং এগিয়ে যাওয়ার কোনও আগ্রহ দেখায় না।
৮) অসম্মানজনক আচরণ
যখন কেউ ধারাবাহিকভাবে আপনার প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেন, যেমন আপনার কাজের বা তার প্রতি যত্নের প্রশংসা না করা বা নিয়মিত খারাপ আচরণ করা। এটা সম্পর্ককে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কারো আচরণে এই বৈশিষ্ট্যগুলো প্রতীয়মান হলে তিনি আপনার জন্য আদর্শ সঙ্গী নাও হতে পারেন। তবে মনে রাখা জরুরি, মানুষের সাথে সাথে তার আচরণ যেমন পরিবর্তনশীল, তেমনি সময়ে ব্যবধানে সম্পর্কের মাত্রাও পরিবর্তন হতে পারে। কেউ যদি তাদের ভুল বুঝে এবং পরবর্তীতে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেন, আচরণে পরিবর্তন আনেন, তবে বিষয়টি আলাদা।
মানুষ জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকে খোঁজে, যিনি সঙ্গীর চিন্তা, মূল্যবোধ ও আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন।
সূত্র: https:/linkcuts.org/mpupam7f
রাকিব