
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী কিছু অঞ্চলে তীব্র পুরুষত্ববাদ এবং নারীবিদ্বেষী মনোভাব নতুনভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষত অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারণা রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে আরও প্রসারিত হয়েছে। এর মধ্যে ইউকে-র একটি ঘটনার উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যেখানে এক যুবক তার প্রাক্তন বান্ধবী, তার বোন এবং মা-কে নির্মমভাবে হত্যা করে, এবং হত্যার আগে সে নিজের প্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার, অ্যান্ড্রু টেইট-এর ভিডিও দেখেছিল। টেইট, যিনি একসময় ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক থেকে নিষিদ্ধ হলেও, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হয়েছে।
এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে "ম্যানোস্ফিয়ার" নামে পরিচিত অনলাইন ফোরামগুলো, যেখানে পুরুষত্ব ও নারীবিদ্বেষী আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের ফোরামগুলি একদিকে পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য, একাকীত্ব এবং আঘাতের মতো সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেয়, তবে পাশাপাশি সেখানে বিষাক্ত পুরুষত্ব এবং নারীবিদ্বেষী ধারণাও প্রবলভাবে উপস্থিত থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যাকব জোহানসেন জানান, বর্তমানে যে "অ্যান্টি-ওক" রেটোরিক উঠেছে, তা সারা বিশ্বের ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি বলেন, অনেক পুরুষ এখন নিজেদের অস্বীকৃত এবং একাকী মনে করেন, আর এটি তাদেরকে এই ধরনের বিষাক্ত ধারণার প্রতি আকৃষ্ট করে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা প্রমাণ করে যে, তরুণ পুরুষদের মধ্যে এই বিষাক্ত পুরুষত্বের ধারণা দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই ধারণাগুলো নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং শোষণের মনোভাবকে আরও জোরালো করে তুলবে, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
শিহাব