
প্রতীকী ছবি
আবেগপ্রবণ ও সংবেদনশীলতার দিন থেকে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে হঠাৎ করে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে একে অপরকে দোষারোপ না করে, বরং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আত্ম-সচেতনতা বাড়িয়ে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যায়। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ৭টি আচরণ সাধারণত অতি আবেগপ্রবণ ও সংবেদনশীল নারীদের মধ্যে দেখা যায়—
১) হঠাৎ আবেগের ওঠানামা
অনেক সময় তারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হন। সামান্য কারণে অতি আনন্দিত বা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তার এসব আচরণ যা আশপাশের মানুষকে চিন্তায় ফেলে দেয়।
২) অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা
এরা প্রায়ই অন্যদের উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল থাকেন। যেকোনো সমস্যায় কাছের মানুষদের মানসিক সমর্থন চাইতে পারেন, যা কখনও কখনও আশপাশের মানুষের জন্য ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে।
৩) সর্বদা প্রশংসা ও স্বীকৃতি চাওয়া
এ ধরনের নারীরা অন্যদের কাছ থেকে নিয়মিত প্রশংসা ও স্বীকৃতি চান। তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক সময় অন্যদের মতামতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
৪) সমালোচনা মেনে নিতে কষ্ট হওয়া
অন্যদের গঠনমূলক সমালোচনাকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নিতে পারেন এবং আত্মরক্ষামূলক আচরণ করতে পারেন, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতির পথে বাধা হতে পারে।
৫) সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রবণতা
তারা সবকিছু নিজের মতো করে চালাতে চান, অন্যদের মতামত বা পদ্ধতিকে সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। এতে সম্পর্ক ও কাজের পরিবেশে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।
৬) একা থাকার ভয়
একা থাকা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে তারা সবসময় অন্যদের সঙ্গে থাকতে চান, যা তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মানসিক স্থিতিশীলতায় বাধা হতে পারে।
৭) অতিরিক্ত নাটকীয়তা
তারা প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় নাটকীয়তার মধ্যে থাকেন। ছোটখাটো বিষয়কে বড় করে তোলেন, যা সম্পর্কের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
আমাদের সবার মধ্যেই কিছুটা সংবেদনশীলতা থাকে। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়িয়ে আত্ম-সচেতনতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে আমরা নিজেদের ও অন্যদের সঙ্গে আরও সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি।
সূত্র: https:/linkcuts.org/duk0z92f
রাকিব