
ছবিঃ সংগৃহীত
সুস্থ ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশি শিথিল করতে, স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং ঘুমের গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করে। নিচে উল্লেখিত ১০টি ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে ঘুমের সমস্যা কমতে পারে।
১. কালো বিনস
প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ডাল ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস, যা শরীর ও মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে। স্যুপ, সালাদ বা র্যাপে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. পালংশাক
ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ পালংশাক স্নায়ুকে শান্ত করে এবং পেশি শিথিল করে, ফলে ভালো ঘুম নিশ্চিত হয়। সালাদ, স্মুদি বা রান্নায় ব্যবহার করুন।
৩. কাঠবাদাম
রাতে কিছু কাঠবাদাম খেলে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রশান্তি এনে ঘুমের মান উন্নত করে।
৪. কলা
কলা ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা পেশি ও স্নায়ুকে শিথিল করে এবং স্ট্রেস কমায়। ঘুমানোর আগে একটি কলা খেলে স্বাভাবিক উপায়ে ভালো ঘুম আসতে পারে।
৫. কুমড়ার বীজ
ছোট হলেও এই বীজগুলো ম্যাগনেশিয়ামের একটি শক্তিশালী উৎস। এটি মেলাটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়।
৬. ডার্ক চকলেট
একটু ডার্ক চকলেট খেলে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা বাড়ে এবং সেই সঙ্গে সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়, যা মস্তিষ্ককে শান্ত করে ঘুমের সহায়ক হয়।
৭. অ্যাভোকাডো
ম্যাগনেশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ও পেশি শিথিল করে, যা ঘুমের জন্য সহায়ক।
৮. কাজু বাদাম
কাজু বাদাম ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে শিথিল করে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ঘুমের আগে অল্প পরিমাণে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯. দই
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ দই ঘুমের ধরন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। অতিরিক্ত চিনি ছাড়া প্লেইন দই বেছে নেওয়া ভালো।
১০. ওটস
উষ্ণ এক বাটি ওটস ম্যাগনেশিয়াম ও জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে ঘুমের জন্য প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
সুস্থ ঘুমের জন্য এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এগুলো শুধু ঘুমের মান উন্নত করবে না, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হবে।
রিফাত