ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

ঈদের কেনাকাটায় দর-কষাকষি করবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ০৩:১২, ১৯ মার্চ ২০২৫

ঈদের কেনাকাটায় দর-কষাকষি করবেন যেভাবে

ছবি সংগৃহীত

ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়ে দেন। তাই বুদ্ধিমানের মতো দর-কষাকষি করতে পারলে ভালো মানের পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা সম্ভব।

অভিজ্ঞ ক্রেতারা বলেন, দর-কষাকষি একটি কৌশল, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে বাজেটের মধ্যে থেকে ঈদের কেনাকাটা করা যায়। দর-কষাকষির ৭টি কার্যকর কৌশল:

১. বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দাম যাচাই করুন
কোনো পণ্য কেনার আগে একাধিক দোকানে ঘুরে সেটির গড় মূল্য সম্পর্কে ধারণা নিন। শুধু বাজারেই নয়, অনলাইনেও দাম যাচাই করুন। এতে বিক্রেতা যদি বেশি দাম চায়, আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন।

২. দাম বলার কৌশল শিখুন
যদি কোনো পণ্যের দাম ৫০০০ টাকা বলা হয়, তাহলে সরাসরি ২৫০০ টাকা বলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। দাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে প্রথমে বিভিন্ন দোকান থেকে একদাম জেনে নিন। এরপর বুঝেশুনে দর-কষাকষি করুন।

৩. আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন
দর-কষাকষির সময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন। যদি দ্বিধাগ্রস্ত দেখান, তবে বিক্রেতা বুঝে ফেলবে যে আপনি দর কমানোর ক্ষেত্রে দুর্বল। ফলে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

৪. পছন্দ বুঝতে না দিন
কোনো পণ্য আপনার পছন্দ হলে সেটা দোকানিকে বুঝতে দেবেন না। এমন আচরণ করুন যেন এটি না পেলেও আপনার কিছু যায়-আসে না। বিক্রেতা যদি বুঝে ফেলে আপনি এটি যেকোনো মূল্যে কিনবেন, তাহলে সে দাম কমাবে না।

৫. অন্য দোকানের দামের প্রসঙ্গ তুলুন
দোকানে গিয়ে বলুন, ‘অন্য দোকানে কমে পাচ্ছি’ বা ‘আমি আরও কয়েক জায়গায় দেখছি’। এতে বিক্রেতা আপনাকে ধরে রাখতে চাইবে এবং দাম কমাতে পারে।

৬. ভদ্রতা বজায় রাখুন, কিন্তু কঠোর থাকুন
দর-কষাকষির সময় ভদ্রতা বজায় রাখুন, কিন্তু ছাড় না পাওয়া পর্যন্ত সহজে দমে যাবেন না। ভালো ব্যবহার করলে বিক্রেতা আপনাকে গুরুত্ব দেবে এবং সম্ভব হলে ছাড় দেবে।

৭. চলে যাওয়ার ভান করুন
দর-কষাকষির পরও যদি দাম বেশি মনে হয়, তাহলে ‘থাক, লাগবে না’ বলে চলে যাওয়ার ভান করুন। অনেক সময় বিক্রেতা আপনাকে ধরে রাখবে এবং কম দামে রাজি হবে।

আশিক

×