
ছবিঃ সংগৃহীত
জাপানে শিক্ষার্থীদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য কিছু বিশেষ পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, যা ধীরগতির শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। আসুন জেনে নেই সেই ১০টি শক্তিশালী মেমোরি টেকনিক—
১. শিরিতোরি (শব্দ সম্পর্কিত খেলা)
শিরিতোরি একটি জাপানি শব্দ খেলা, যেখানে আগের শব্দের শেষ অক্ষর দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করতে হয়। এই পদ্ধতি শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে এবং ভাষাগত স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
২. কাঞ্জি ভিজুয়ালাইজেশন
জাপানি কাঞ্জি অক্ষরগুলোর মধ্যে চিত্রধর্মী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রতিটি অক্ষরকে ছবি বা গল্পের সঙ্গে যুক্ত করে মনে রাখলে এর অর্থ ও লেখার কৌশল সহজ হয়ে যায়।
৩. স্পেসড রিপিটিশন (SRS)
জাপানে ‘আনকি’ নামে একটি জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহৃত হয়, যা তথ্য নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে পুনরায় পড়ার সুযোগ দেয়। এতে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
৪. মেমনিক ডিভাইস
কাঞ্জির বিভিন্ন উচ্চারণ মনে রাখতে শিক্ষার্থীরা মেমনিক্স ব্যবহার করে। এটি কুনইয়োমি (জাপানি উচ্চারণ) ও ওনইয়োমি (চীনা উচ্চারণ) পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
৫. চ্যান্টিং ও আবৃত্তি
জাপানি শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, কবিতা বা গুণনীয়ক সারণি বারবার আবৃত্তি করে। এই ছন্দময় পুনরাবৃত্তি শেখার ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. মাইন্ড ম্যাপিং (মোজিৎসুকে)
চিত্রের মাধ্যমে ধারণা সংযোগ করে উপস্থাপন করাকে মাইন্ড ম্যাপিং বলা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের তথ্যের সম্পর্ক বুঝতে এবং সহজে মনে রাখতে সাহায্য করে।
৭. মেডিটেটিভ লার্নিং (জাযেন ফোকাস)
জাযেন নামক ধ্যানচর্চা মনোযোগ বৃদ্ধি ও মানসিক স্বচ্ছতা আনতে সাহায্য করে। এতে শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৮. ফ্ল্যাশকার্ড পদ্ধতি (করুতা কার্ডস)
করুতা একটি ঐতিহ্যবাহী জাপানি কার্ড খেলা, যেখানে ছবি ও শব্দকে একত্রিত করে শেখানো হয়। ভাষা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৯. গল্প বলার কৌশল (কোজিকি পদ্ধতি)
জাপানে ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘কোজিকি’-র গল্প বলার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। নিজের শেখা বিষয়ের সঙ্গে গল্প তৈরি করলে তা দীর্ঘদিন মনে রাখা সম্ভব।
১০. ফেইনম্যান কৌশল
এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা অন্যকে সহজ ভাষায় শেখানোর চেষ্টা করে। এতে নিজের জ্ঞান আরও মজবুত হয় এবং দুর্বল দিকগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এই শক্তিশালী জাপানি স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন পদ্ধতিগুলো ধীরগতির শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করে তোলে।
ইমরান