
ছবি: সংগৃহীত
দিনদিনই দেশের আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই বছর গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারো পূর্বের সব রেকর্ড। এসময় ঘরে থেকেও যেন স্বস্তি নেই। ঘরের তাপমাত্রা সহনীয় রাখতে সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বিলাসবহুল এসি সকলের নাগালের মধ্যে নেই। তাছাড়া, এটি পরিবেশের অবর্ণনীয় ক্ষতি করে যার দীর্ঘমেয়াদী ফল হতে পারো আরো ভয়াবহ। তাই ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করাই উত্তম।
অসহনীয় গরমে ঘরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা রাখার কিছু উপায় হলো:
১. টেবিল ফ্যানের সামনে ঠান্ডা পানি বা আইস কিউব রেখে ফ্যান ছাড়ুন। বরফ বা ঠান্ডা পানি আশেপাশে ঠান্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং ফ্যানের বাতাসে তা ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে শীতলতা অনুভূত হবে। রাখে ভালো ঘুমের জন্য ঘুমানোর আগে এই কাজটি করা যেতে পারে।
২. অতিরিক্ত গরম পড়লে মেঝেতে শোয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সিলিং থেকে বিছানার তুলনায় মেঝের দূরত্ব বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কম গরম অনুভূত হয়। ঘুমানোর আগে মেঝে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে নিলেন গরম অনেকটা কম লাগবে।
৩. ঘর ঠান্ডা রাখতে জানালা খুলে, জানালার সামনে একটি ভেজা চাদর মেলে দিন। এতে বাইরে থেকে যে বাতাস আসবে তা চাদর থেকে পানি শোষণ করে ঘরে শীতলতা ছড়িয়ে দিবে।
৪. ঘরের গরম বাতাস বের করে দিতে স্ট্যান্ড ফ্যান বা টেবিল ফ্যানে জানালা বা বাইরের দিকে মুখ করে ছেড়ে রাখুন। এতে ফ্যানের বাতাসের চাপে রুমের গরম বাতাস জানালা দিয়ে বের হয়ে যাবে।
৫. রাতের বাতাস দিনের চেয়ে ঠান্ডা হয়। তাই সন্ধ্যায় দরজা জানালা খুলে দিন। যাতে পুরো বাসায় বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
৬. ঘরের ভিতরে ছোট গাছ যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতরে জমা হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
৭. ঘর ঠান্ডা রাখতে ঘরের চারপাশে ছায়া দেয় এমন গাছপালা লাগতে পারেন
৮. ঘরের চারপাশে ঘাস লাগালেও ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা থাকে।
৯. রোদ এড়াতে জানালায় সুতি ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
১০. গরমে হালকা বা সাদা রঙের পাতলা বিছানার চাদর ব্যবহার করুন। ভারী চাদরে ঘাম বেশি হয়, তাই গরমে এড়িয়ে চলুন। হালকা রঙ তাপ শোষণ না করে প্রতিফলিত করে। তাই শরীরে গরম কম অনুভূত হয়।
মায়মুনা