
ছবি: সংগৃহীত।
আমরা সবাই চাই যে আশেপাশের মানুষ আমাদের পছন্দ করুক, কিন্তু বাস্তবে তা সবসময় সম্ভব হয় না। অনেক সময় কেউ আপনাকে অপছন্দ করলেও তা সরাসরি বলেন না। বরং তারা কিছু সূক্ষ্ম, কিন্তু স্পষ্ট সংকেত দেন যা বোঝা একটু কঠিন হতে পারে। এই ধরনের আচরণকে বলে ‘প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ’ আচরণ, যেখানে মানুষ মুখে কিছু না বললেও তাদের হাবভাব, অঙ্গভঙ্গি বা আচরণের মাধ্যমে বিরক্তি বা অপছন্দ প্রকাশ করে। নিচে এমন ৮টি সাধারণ প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ আচরণের তালিকা দেওয়া হলো, যা থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কেউ আপনাকে সত্যিই অপছন্দ করছে কিনা।
১. ঠান্ডা ব্যবহারে কথা বলা
যখন কেউ আপনাকে অপছন্দ করেন, তারা সাধারণত এক কথায় উত্তর দেয়, খুব সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলে, বা উত্তরের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব থাকে।
২. ব্যঙ্গাত্মক প্রশংসা করা
যদি কেউ আপনাকে এমনভাবে প্রশংসা করে যা আসলে আপনার দুর্বলতাকে হাইলাইট করে, তবে বুঝতে হবে এটি একটি সূক্ষ্ম কটাক্ষ। যেমন: "তোমার আজকের কাজটা খুব ভালো হয়েছে, সাধারণত তো এত ভালো করতে দেখি না!"
৩. চোখের যোগাযোগ এড়িয়ে যাওয়া
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া বা বারবার চোখ ঘুরিয়ে নেওয়া এটাই ইঙ্গিত দেয় যে তারা আপনাকে এড়িয়ে চলতে চান।
৪. আপনার সফলতাকে ছোট করে দেখা
যদি কেউ আপনার অর্জনকে তুচ্ছ করে বা "এটা তো সহজ ছিল" জাতীয় মন্তব্য করে, তবে বুঝতে হবে তারা আপনাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না।
৫. ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা বা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া
আপনার কোনো অনুরোধ বা সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করবে বা বিষয়টি গুরুত্ব দেবে না।
৬. সূক্ষ্ম বিদ্রুপ বা হাসি-তামাশা করা
অনেক সময় কেউ সরাসরি কিছু না বলে এমনভাবে কটাক্ষ করে, যাতে তা মজার মনে হয় কিন্তু আসলে ছোট করার উদ্দেশ্যে বলা হয়।
৭. সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলা
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার কাছ থেকে দূরে থাকে, গ্রুপ আলোচনায় আপনাকে উপেক্ষা করে বা আপনাকে আমন্ত্রণ না জানায়, তবে বুঝতে হবে তারা আপনাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে।
৮. অযথা বিরক্তি বা ধৈর্যহীনতা দেখানো
আপনার সামান্য কথাতেও যদি কেউ বিরক্ত হয়ে যায় বা ধৈর্যহীন আচরণ করে, তবে এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে তারা আপনাকে পছন্দ করেন না।
এই আচরণগুলো দেখলেই ধরে নেওয়া যাবে না যে কেউ আপনাকে অপছন্দই করে, তবে যদি একই ব্যক্তি বারবার এ ধরনের আচরণ করে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের মনে আপনার প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নতির জন্য খোলাখুলি আলোচনা করাই সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে।
নুসরাত