ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

কর্মজীবন নতুনভাবে ভাবতে চাইলে ‘কেন’ প্রশ্ন করা শুরু করুন

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১৬ মার্চ ২০২৫

কর্মজীবন নতুনভাবে ভাবতে চাইলে ‘কেন’ প্রশ্ন করা শুরু করুন

কোভিড মহামারির পর থেকে মানুষ তাদের কর্মজীবনের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করছে। সামাজিক পরিবর্তন ও মহামারির প্রভাব কর্মসংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।

এই বিষয়ে গভীর গবেষণা করেছেন বিশেষজ্ঞ জেনিফার মস। তিনি ভবিষ্যতমুখী নেতৃত্ব উন্নয়ন ও কর্মীদের সুস্থতা ও কর্মদক্ষতার ভারসাম্য নিয়ে কাজ করেন। তার নতুন বই ‘Why Are We Here? Creating a Work Culture Everyone Wants’ কর্মসংস্কৃতি উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে।

মস বিভিন্ন তথ্য-নির্ভর কৌশল ব্যবহার করে কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি পরিবর্তনের ওপর কাজ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেস কাউন্সিল’-এ কাজ করেছেন এবং তার গবেষণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

বর্তমানে কর্মীরা নিজেদের কাছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করছে—এই চাকরি কি আমার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করছে? আমি কি কাজের প্রতি আগ্রহী, নাকি শুধু উদ্বেগ ও অবসাদ অনুভব করছি? আমার কাজ কি অর্থবহ? আমি এখানে কেন?

এই প্রসঙ্গে মস বলেন, “আচরণবিজ্ঞানগত দৃষ্টিকোণ থেকে, মহামারি আমাদের সময়ের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করেছে। এটি মানুষকে আরও বেছে বেছে সময় ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। যখন বৈশ্বিক মহামারি ও বহুমুখী সংকট দেখা দেয়, তখন মানুষ জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্যকে আরও গুরুত্ব দিতে শুরু করে।”

তিনি আরও বলেন, মানুষ যখন তাদের কর্মজীবনের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে এবং জীবনের সংক্ষিপ্ততা উপলব্ধি করে, তখন ‘দ্য গ্রেট রেজিগনেশন’ বা ব্যাপক পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। এরপর আসে ‘দ্য গ্রেট রিনেগোশিয়েশন’, যেখানে মানুষ বেতন নয়, বরং তাদের মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে।

তবে বর্তমানে কর্মীদের মাঝে কর্মস্থল পরিবর্তনের সুযোগ কম থাকায় ‘দ্য গ্রেট ডিটাচমেন্ট’ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা আরও চিন্তার বিষয়। মসের মতে, “যখন কর্মীরা নিজেদের ‘অবরুদ্ধ’ মনে করে, তখন তারা চাকরিতে অনীহা দেখায় এবং অজস্র আবেদন করতে থাকে, যা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।”

 

রাজু

×