
ছবি: সংগৃহীত
অনেক শিক্ষার্থীই চান দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা করতে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ক্লান্তি বা একঘেয়েমি অনুভব করেন। এতে পড়ার কার্যকারিতা কমে যায় এবং শেখার গতি ধীর হয়ে যায়। তবে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করলে দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনা করা সম্ভব।
ব্রেইন যখন পড়াশোনার অভ্যাসে অভ্যস্ত নয়, তখন কিছুক্ষণ পরই ক্লান্তি অনুভূত হয়। ফলে একটানা অনেকক্ষণ পড়তে গেলে মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত অনুশীলন করলে মস্তিষ্কের সহনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং পড়ার সময়কাল ধীরে ধীরে বাড়ানো সম্ভব।
মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল
নিয়মিত বিরতি নিন:
একটানা দীর্ঘ সময় পড়ার পরিবর্তে, ৫০-৬০ মিনিট পড়ে ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে এবং ক্লান্তি কম অনুভূত হবে।
“আর পাঁচ মিনিট পড়বো”:
যখন মনে হবে পড়তে আর ইচ্ছে করছে না, তখন নিজেকে বলুন— “আর পাঁচ মিনিট পড়বো।” এই পাঁচ মিনিট ফুল কনসেন্ট্রেশন দিয়ে পড়ুন। এরপর বিরতি নিন বা পুনরায় পাঁচ মিনিট বাড়ান।
পড়ার সময় ধীরে ধীরে বাড়ান:
প্রথমে ৫০ মিনিট পড়ুন, তারপর পাঁচ মিনিট যোগ করুন। এক সপ্তাহ পর লক্ষ্য করুন, এখন হয়তো ৬০-৭০ মিনিট পড়তে পারছেন। এভাবে ধীরে ধীরে পড়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করুন।
ফোকাসড স্টাডি পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
পড়ার সময় মোবাইল ফোন দূরে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে পড়তে বসুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করুন, এতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
শরীরকে ট্রেনিং দিন:
এক্সারসাইজের মতো, ব্রেনকেও ট্রেনিং দিতে হবে। যেমন প্রথমে পাঁচটি পুশআপ করতে কষ্ট হয়, পরে তা ৩০টি পর্যন্ত করা যায়। তেমনি প্রথমে ৫০ মিনিট পড়া কষ্টকর লাগলেও ধীরে ধীরে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত পড়া সম্ভব হবে।
ধৈর্য ধরে পড়ার ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে ব্রেনকে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষিত করুন। “আর পাঁচ মিনিট” কৌশলটি নিয়মিত অনুসরণ করলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে।
শিলা ইসলাম