
প্রতীকী ছবি
শিশুসুলভ মানে হলো কৌতূহল, উদ্দীপনা ও আনন্দ বজায় রাখা, কিন্তু শিশুসুলভ আচরণ মানে অপরিণত স্বার্থপরতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্থবিরতা।
এখন আসুন দেখি কোন ৭টি লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পরিপক্ব হননি:
১) অপরিপক্ব হাস্যরস
একজন পরিপক্ব ব্যক্তি তার হাস্যরসেও চিন্তাশীল হন। শুধুমাত্র কৌতুক, প্র্যাঙ্ক বা শিশুসুলভ ঠাট্টার মধ্যে আটকে থাকা এবং ব্যঙ্গাত্মক বা বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক উপভোগ না করা বুদ্ধিবৃত্তিক অপরিপক্বতার লক্ষণ।
২) ভিডিও গেমে অতিরিক্ত আসক্তি
বিনোদনের জন্য ভিডিও গেম খেলা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এটি একমাত্র আগ্রহ হয়ে দাঁড়ায় এবং বাস্তব জীবনের উন্নয়ন ও জ্ঞান অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে এটি অপরিপক্কতার ইঙ্গিত দেয়।
৩) সমসাময়িক বিষয়ের প্রতি উদাসীনতা
বিশ্বের ঘটনা, রাজনীতি বা সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকা বোঝায় যে ব্যক্তি কেবল নিজের সংকীর্ণ জগতে সীমাবদ্ধ। বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতা মানে হলো বিশ্ব ও পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ রাখা।
৪) অন্যের মতামতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা
নিজের মত গঠনের পরিবর্তে যদি কেউ সবসময় অন্যদের চিন্তার ওপর নির্ভরশীল হন, তাহলে এটি চিন্তার স্বাধীনতার অভাব প্রকাশ করে। একজন পরিপক্ব ব্যক্তি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে নিজস্ব মতামত গঠন করেন।
৫) ভুল স্বীকার না করা
নিজের ভুল স্বীকার করতে না পারা এবং সবসময় দোষ অন্যের উপর চাপানোর প্রবণতা অপরিপক্বতার লক্ষণ। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পরিপক্ব ব্যক্তিরা ভুল থেকে শেখেন এবং আত্মসমালোচনা করতে পারেন।
৬) পড়াশোনার প্রতি অনীহা
বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য পড়াশোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ নতুন কিছু পড়তে বা শিখতে আগ্রহী না হন, তাহলে তার মানসিক বিকাশ থমকে গেছে বলেই ধরে নেওয়া যায়।
৭) কৌতূহলের অভাব
কৌতূহল বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতার মূল চাবিকাঠি। নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা না থাকা, প্রশ্ন না করা বা নতুন ধারণা সম্পর্কে উদাসীন থাকা স্পষ্টতই একজন ব্যক্তির মানসিক স্থবিরতার পরিচায়ক।
বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতা অর্জন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি শুধু বই পড়া বা জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি চিন্তার গভীরতা, নিজেকে উন্নত করার ইচ্ছা এবং চারপাশের বাস্তবতাকে বোঝার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। তাই কৌতূহলী হোন, নতুন কিছু শিখুন এবং মানসিকভাবে পরিপক্ব হওয়ার চেষ্টা করুন।
সূত্র: https://tinyurl.com/4up2tce3
রাকিব