ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

সত্যিকারের ধনী চিনতে পারবেন যে ৭ লক্ষণে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৪ মার্চ ২০২৫

সত্যিকারের ধনী চিনতে পারবেন যে ৭ লক্ষণে

ছবি: সংগৃহীত

 

অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রা এবং অভ্যাসে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যা সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা। এখানে সাতটি লক্ষণ দেওয়া হলো, যা ইঙ্গিত দেয় যে কেউ সত্যিই উচ্চ নেট-মূল্যের অধিকারী:

১. তারা বিলাসিতা প্রদর্শনের চেয়ে গোপনীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়

  • প্রকৃত ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদ প্রকাশ্যে প্রদর্শন করার পরিবর্তে ব্যক্তিগত জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। তারা সাধারণত ব্র্যান্ডের বড় লোগোসহ পোশাক পরেন না, বরং সূক্ষ্ম ও উচ্চমানের জিনিস পছন্দ করেন। তাদের গাড়ি বা বাড়িও হতে পারে অত্যাধুনিক কিন্তু বেশি নজরকাড়া নয়।

২. তারা দক্ষ আর্থিক পরামর্শকদের সাথে কাজ করে

  • সত্যিকারের উচ্চ নেট-মূল্যের ব্যক্তিরা সম্পদ বৃদ্ধির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে কাজ করেন, যেখানে থাকে সম্পদ ব্যবস্থাপক, কর পরামর্শক এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনাকারী। তারা শুধুমাত্র টাকা জমিয়ে রাখেন না, বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থকে আরও বৃদ্ধি করেন।

৩. তারা লিজ বা ঋণের ওপর নির্ভর করে না, বরং মালিকানা রাখে

  • সত্যিকারের ধনী ব্যক্তিরা সম্পত্তি, বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যক্তিগত বিমান বা নৌযান লিজ নেওয়ার পরিবর্তে মালিকানা অর্জন করে। এটি তাদের দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সুবিধা দেয় এবং সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।

৪. তারা বেতন থেকে নয়, বিনিয়োগ থেকে আয় করে

  • সাধারণ মানুষ মূলত মাসিক বেতনের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু উচ্চ নেট-মূল্যের ব্যক্তিরা বিনিয়োগ, ব্যবসা এবং সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে আয়ের উৎস তৈরি করেন। তাদের আয়ের প্রধান উৎস শেয়ার বাজার, রিয়েল এস্টেট, প্রাইভেট ইকুইটি, এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ।

৫. তাদের সময়ের মূল্য অনেক বেশি

  • অতিধনী ব্যক্তিরা সময়কে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন এবং এটি অপচয় করে না। তারা সময় বাঁচানোর জন্য ব্যক্তিগত সহকারী, এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার এবং বিশেষজ্ঞদের কাজে নিয়োজিত করেন। ছোটখাট দৈনন্দিন কাজের পরিবর্তে তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বেশি মনোযোগ দেন।

৬. তারা ক্রমাগত নতুন জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী

  • প্রচুর সম্পদ থাকলেও তারা শেখার মানসিকতা ধরে রাখেন। বই পড়া, নতুন দক্ষতা অর্জন, এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে শিখতে তারা সবসময় আগ্রহী। অনেক সফল উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী প্রতিদিন বই পড়েন এবং নতুন জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন।

৭. তারা দানশীল এবং সামাজিক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন

  • অধিকাংশ উচ্চ নেট-মূল্যের ব্যক্তি দাতব্য সংস্থা, সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বা ফাউন্ডেশন পরিচালনা করেন। বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট বা এলন মাস্কের মতো ধনী ব্যক্তিরা তাদের বিপুল সম্পদের একটি বড় অংশ জনকল্যাণে ব্যয় করেন।

এই লক্ষণগুলো যদি কারও মধ্যে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি শুধুমাত্র ধনী নন, বরং দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ গড়ে তোলা এবং অর্থ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দক্ষ।

কানন

×