
ছবি: সংগৃহীত।
টক-মিষ্টি স্বাদের জন্য তেতুল আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। এটি শুধু রসনাতৃপ্তির জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও বেশ কার্যকর। তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। তবে অতিরিক্ত তেতুল খাওয়া কিছু ক্ষতিকর দিকও সৃষ্টি করতে পারে। তাই তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা জরুরি।
চলুন জেনে নিই, তেতুল খাওয়া কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর।
তেতুল খাওয়ার উপকারিতা:
- হজমশক্তি বাড়ায়: তেতুলে প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: তেতুলে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও কম ক্যালোরি রয়েছে, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং ওজন কমাতে সহায়ক।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: তেতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন C শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: গবেষণায় দেখা গেছে, তেতুল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
তেতুল খাওয়ার অপকারিতা:
- অতিরিক্ত খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিডিক।
- রক্তচাপ খুব বেশি কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষত যদি কারও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে।
- রক্ত পাতলা করে, তাই যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাদের জন্য তেতুল বেশি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতা দরকার, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা রক্তের শর্করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- দাঁতের ক্ষতি করতে পারে, কারণ এতে উচ্চমাত্রায় অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে।
তেতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে তা পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের তেতুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই সঠিক পরিমাণে তেতুল খেয়ে এর উপকারিতা উপভোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন!
নুসরাত