
ছবি: সংগৃহীত
পর্যাপ্ত ও সুষ্ঠু ঘুম সুস্থ শরীর ও মন বজায় রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অনেকেই অনিয়মিত ঘুমের কারণে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রমজান মাসে রাতজাগা, সাহরি এবং তারাবির কারণে ঘুমের রুটিন বিঘ্নিত হয়। তাই ঘুম ঠিক রাখার জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করা জরুরি।
ঘুম নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায়
একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে গেলে এবং ঘুম থেকে উঠলে শরীর সেই রুটিনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এতে ঘুম সহজে আসে এবং ঘুমজনিত সমস্যা কমে যায়।
ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম কমান
মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে নীল আলো নির্গত হয়, যা মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে এবং মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করে। তাই ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে এসব ডিভাইস ব্যবহার না করাই ভালো।
ক্যাফেইন ও চা-কফি পরিহার করুন
বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে কফি, চা, সফট ড্রিংক বা চকলেট পরিহার করা উচিত।
হালকা ব্যায়াম করুন
রাতে ভারী ব্যায়াম না করে হালকা স্ট্রেচিং বা মেডিটেশন করলে শরীর ও মন শান্ত হয়, যা ভালো ঘুমে সহায়তা করে।
সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন
ঘুমানোর জায়গাটি আরামদায়ক হওয়া উচিত। রুমের তাপমাত্রা সহনীয় রাখা, কম আলো ব্যবহার করা ও নীরব পরিবেশ নিশ্চিত করলে ঘুম দ্রুত আসে।
খাবারের প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করুন
খুব ভারী খাবার খেলে তা হজম হতে সময় লাগে এবং পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়, যা ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। তাই রাতে সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করা ভালো।
রমজানে ঘুমের বিশেষ রুটিন অনুসরণ করুন
রমজানে রাতের ইবাদত ও সাহরির কারণে ঘুমের সময় কমে যেতে পারে। তাই দিনের কিছু সময় (দুপুরে ২০-৩০ মিনিট) বিশ্রাম নিলে শরীর চাঙা থাকবে এবং ঘুমের ঘাটতি পূরণ হবে।
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্য ভালো রাখে, কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক স্বস্তি দেয়। তাই ঘুমের প্রতি অবহেলা না করে নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। বিশেষ করে রমজানের মতো ব্যস্ত সময়ে ঘুমের সঠিক ব্যবস্থাপনা আরও বেশি জরুরি।
নুসরাত