
ছবি: সংগৃহীত
সফলতা কেবলমাত্র কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা কিংবা দিনের শুরুতেই ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার উপর নির্ভর করে না; সন্ধ্যার সময়টাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ অভ্যাস রয়েছে যা মানুষকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৮টি সন্ধ্যার অভ্যাস যা ব্যর্থ মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
১. পরিকল্পনাহীন সন্ধ্যা কাটানো
সফল ব্যক্তিরা দিনের শেষে পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা করে রাখেন। কিন্তু যারা ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হন, তারা সাধারণত কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই সময় কাটান। ফলে পরের দিন কীভাবে শুরু করবেন, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা যায়।
২. অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
সন্ধ্যার সময় দীর্ঘক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় নষ্ট করা কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে, যা কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করে।
৩. শারীরিক অনুশীলন না করা
ব্যর্থ ব্যক্তিরা সাধারণত সন্ধ্যায় অলস সময় কাটান এবং ব্যায়াম এড়িয়ে যান। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে, যা কর্মদক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. রাতের খাবারে অনিয়ম
অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ পরের দিনের কর্মশক্তি কমিয়ে দেয়। যারা সফল, তারা রাতের খাবারে পুষ্টিকর খাবার রাখেন, যাতে তাদের ঘুম ভালো হয় এবং দিন শুরু করতে সহজ হয়।
৫. টিভি বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা
টিভি সিরিজ বা মুভি দেখা খারাপ নয়, তবে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে ঘুমের সমস্যা হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সময় কমে যায়।
৬. নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে থাকা
ব্যর্থ ব্যক্তিরা সাধারণত অতীতের ভুল, হতাশা ও নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে বেশি ভাবেন, যা তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। অন্যদিকে, সফল ব্যক্তিরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখেন।
৭. রাত জেগে কাজ করা বা বিনোদন নেওয়া
অনেকেই মনে করেন, রাত জেগে কাজ করা ভালো, কিন্তু বিজ্ঞান বলে ভিন্ন কথা। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মনোযোগ কমে যায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দুর্বল হয় এবং সৃজনশীলতা কমে যায়।
৮. ধ্যান বা আত্মজিজ্ঞাসার অভাব
সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় দিনের মূল্যায়ন করেন, ধ্যান করেন বা আত্মজিজ্ঞাসা করেন। এটি তাদের আত্মোন্নতির পথ সুগম করে। ব্যর্থ ব্যক্তিরা এই অভ্যাস গড়ে না তোলায় একই ভুল বারবার করেন।
আসিফ