
ছবি: সংগৃহীত
অবসরকালীন সময় আমরা অনেক সময় এমন কিছু অভ্যাসে আটকে পড়ি যা আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কখনো কখনো এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না।
আপনার অবসরকালীন সময়কে আরও প্রাণবন্ত ও সক্রিয় রাখতে নিচের ৮টি অভ্যাস পরিহার করুন।
সারাদিন টিভি দেখার অভ্যাস
দিনভর টিভি দেখা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কিছু সময় টিভি দেখা স্বাভাবিক, তবে যখন এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন এটি আপনার চিন্তাশক্তিকে নিস্তেজ করে ফেলতে পারে।
শারীরিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলা
শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শরীরের জন্য নয়, মস্তিষ্কের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা বাগান করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যা মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
কথোপকথনের অভাব
অবসরে সামাজিক যোগাযোগ কমে যেতে পারে, যা একাকিত্ব ও মানসিক নিস্তেজতার কারণ হতে পারে। পরিবার, বন্ধু ও পরিচিতদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপচারিতা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে।
নতুন কিছু শেখার অভ্যাস বাদ দেওয়া
মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে নতুন কিছু শেখা জরুরি। অবসরকালীন সময়ে নতুন ভাষা শেখা, কোনো নতুন শখ গ্রহণ করা বা বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা আপনার চিন্তাশক্তিকে শাণিত রাখতে সাহায্য করবে।
অনিয়মিত ঘুম
অনিয়মিত ঘুমের কারণে মানসিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। পর্যাপ্ত ও গুণগত মানের ঘুম নিশ্চিত করা জরুরি, কারণ ঘুমের সময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধারের কাজ করে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে অনীহা
নিজেকে সবসময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রাখা মানসিক সচেতনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নতুন দক্ষতা শেখা, ভ্রমণে বের হওয়া বা নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া আপনার মানসিক বিকাশে সহায়ক হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেওয়া
অবসরে মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা করা হলে এটি দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ধ্যান, মেডিটেশন, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
এই অভ্যাসগুলো পরিহার করলে আপনার অবসরকালীন সময় আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ হবে। প্রতিদিন সামান্য পরিবর্তন এনে নিজের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
শিলা ইসলাম