
ছবি: সংগৃহীত।
ডাবের পানি আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় এবং প্রাকৃতিক পানীয়। গরমের দিনে শরীরকে সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে এটি খুবই কার্যকর। তবে, কিছু বিশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থায় বা শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাবের পানি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, ডাবের পানি খাওয়ার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন, কোন ব্যক্তিদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত। আজকের এই ফিচার নিউজে আমরা আলোচনা করবো, কাদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া উপকারী নয় এবং কেন।
ডাবের পানি খাওয়ার জন্য কিছু বিশেষ সতর্কতা
ডাবের পানি সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া যায় এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। তবুও, এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, বিশেষ করে যাদের কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থা রয়েছে।
কিডনি সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা
যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ডাবের পানি সাবধানে খাওয়া উচিত। কারণ ডাবের পানিতে উচ্চ পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এই উপাদানটি শরীরে জমে গিয়ে কিডনি ফেইলিওরের কারণ হতে পারে।
হাইপারক্যালেমিয়া বা পটাসিয়ামের উচ্চমাত্রা
যারা পটাসিয়ামের উচ্চমাত্রায় ভুগছেন বা হাইপারক্যালেমিয়ার শিকার, তাদের জন্য ডাবের পানি বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত পটাসিয়াম হৃদযন্ত্রের কাজ বিঘ্নিত করতে পারে এবং প্রাণঘাতী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীরা
ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কোনোভাবেই উপকারী নয়। যদিও ডাবের পানি হালকা, তবে নিয়মিত খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা
যারা ডাবের পানি বা এর কোনো উপাদানে অ্যালার্জিক, তাদের জন্য এটি খাওয়া উচিত নয়। অ্যালার্জির কারণে ত্বকে র্যাশ বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে, ডাবের পানি খাওয়া তেমন উপকারী হতে পারে না, কারণ এটি পেটের অ্যাসিড ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।
এছাড়া, কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ গ্রহণকারী ব্যক্তিরাও ডাবের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে কোন ধরনের সাইড এফেক্ট না হয়।
তাহলে, আমরা যদি ডাবের পানি পান করতে চাই, তবে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টি উপাদান নেওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারি।
নুসরাত