
ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রীর পরকীয়া বা অবৈধ সম্পর্কের লক্ষণগুলো কখনোই নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় না, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যেগুলি দেখলে আপনি সন্দেহ করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়, তাই আপনি যদি এমন কিছু লক্ষণ দেখেন, তবে সরাসরি আলোচনা করা বা সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
এখানে ৫টি সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো যেগুলি পরকীয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে:
১. আচরণে পরিবর্তন
যদি আপনার স্ত্রী আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন অনুভব করেন, যেমন অতিরিক্ত স্নেহ বা একেবারে নিরুৎসাহিত হয়ে যাওয়া, তাহলে এটি পরকীয়ার লক্ষণ হতে পারে। মাঝে মাঝে, পরকীয়া সম্পর্কের কারণে একজন ব্যক্তি তার সঙ্গীর প্রতি আগের মতো স্নেহশীল বা যত্নশীল হতে পারে, অথবা একেবারে অমনোযোগী হয়ে যেতে পারে।
২. অতিরিক্ত গোপনীয়তা
যদি আপনার স্ত্রী তার ফোন, মেসেজ বা ই-মেইল সম্পর্কে অতিরিক্ত গোপনীয় হয়ে যায় এবং আপনি জানতে পারেন যে সে তার অনলাইন কার্যকলাপে পরিবর্তন এনেছে, তখন এটি একটি সতর্ক সংকেত হতে পারে। আপনি যদি আগে তার ফোনে হাত দিতে পারতেন, কিন্তু এখন যদি সে ফোনে একাকী থাকছে বা ফোনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে, তাহলে এটি একটি বড় ইঙ্গিত হতে পারে।
৩. অবাঞ্ছিতভাবে বেশি সময় বাইরের কাজ বা ঘর থেকে বাইরে থাকা
যখন আপনার স্ত্রী অতিরিক্ত সময় কাজ বা বাইরে থাকার অজুহাতে আপনার থেকে দূরে থাকতে শুরু করে, তখন এটি পরকীয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। আপনার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে যদি আপনি সন্দেহ করেন যে সে অতিরিক্ত সময় বাইরে কাটাচ্ছে এবং বাড়িতে ফিরে আসার পরও কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে, তাহলে এটি একটি সতর্ক সংকেত হতে পারে।
৪. শারীরিক সম্পর্কের পরিবর্তন
যদি আপনার স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহে হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে, যেমন আগের মতো ঘনিষ্ঠতা না থাকে বা অন্যদিকে অবজ্ঞা বা নিরুৎসাহিত হওয়া শুরু হয়, তাহলে এটি পরকীয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫. অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বা প্রতিরোধ
যদি আপনি পরকীয়ার বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন এবং আপনার স্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় অস্বাভাবিকভাবে ক্ষিপ্ত বা অসুস্থ হয়, তখন এটি সন্দেহজনক হতে পারে। কখনো কখনো, পরকীয়া সম্পর্কের শিকার ব্যক্তি এটি অস্বীকার করতে গিয়ে অস্থির বা প্রতিরোধমূলক আচরণ করতে পারে।
যদি আপনি এই ধরনের লক্ষণ দেখেন, তাহলে এটি শুধু একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আগে সরাসরি এবং দৃঢ়ভাবে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি আলোচনা করা প্রয়োজন। সম্পর্কের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা এবং বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক