
ছবি: সংগৃহীত।
শারীরিক ও মানসিক শক্তি ধরে রাখতে সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ত জীবনযাত্রা, কাজের চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের ফলে অনেক সময় ক্লান্তি ও অবসাদ দেখা দিতে পারে। তবে প্রকৃতির এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা আমাদের দেহকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। কৃত্রিম এনার্জি ড্রিংক কিংবা ক্যাফেইন নির্ভর না হয়ে যদি আমরা প্রাকৃতিক খাবারের দিকে মনোযোগ দিই, তাহলে সহজেই দীর্ঘস্থায়ী শক্তি ধরে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নিই কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের নাম, যা আমাদের দেহে শক্তি জোগাতে সহায়ক।
১. ওটস বা জই
ওটস ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার ধীরে হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের স্তর স্থিতিশীল রাখে।
২. কলা
কলাতে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে, যা দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখতেও কার্যকর।
৩. বাদাম ও চিয়া সিড
বাদাম, বিশেষ করে কাঠবাদাম ও আখরোট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে। চিয়া সিডও ভালো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস, যা মানসিক ও শারীরিক শক্তি বাড়ায়।
৪. মধু
প্রাকৃতিক মিষ্টিজাতীয় খাদ্য হিসেবে মধু তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি বাড়ায়। এতে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সহজেই শোষিত হয় এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।
৫. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও থিওব্রোমিন থাকে, যা শরীরকে চাঙা রাখে এবং মানসিক শক্তি বাড়ায়।
৬. ডিম
ডিম প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা পেশিশক্তি বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৭. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ধীরে ধীরে হজম হয়ে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে।
৮. সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, ব্রকলি, কলি শাকের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
৯. দই
প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে দই হজমশক্তি বাড়ায় এবং এতে থাকা প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম শরীরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
১০. পানি
পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, ফলে ক্লান্তি দূর হয় এবং সার্বিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা হলে শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে। কৃত্রিম এনার্জি বুস্টারের চেয়ে এসব প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করলে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি পাওয়া সম্ভব এবং শরীরের উপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাবও পড়বে না। তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
নুসরাত