ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া যে ভয়ংকর ৫টি রোগের লক্ষণ হতে পারে

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১১ মার্চ ২০২৫

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া যে ভয়ংকর ৫টি রোগের লক্ষণ হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। এটি শরীরের কোনো রোগ বা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হিসেবে কাজ করতে পারে। নিচে এমন ৫টি রোগের বিবরণ দেওয়া হলো, যেগুলোর কারণে হঠাৎ ওজন কমে যেতে পারে:

১. থাইরয়েড সমস্যা 
থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকলাপের ফলে হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হয়, যা শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করে তোলে এবং হঠাৎ ওজন কমে যায়। Hyperthyroidism এ শরীরের গরম অনুভূতি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে।

২. ডায়াবেটিস 
ডায়াবেটিসের কারণে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, ফলে গ্লুকোজ শরীরে জমা হয় না এবং শক্তির জন্য শরীর চর্বি এবং পেশী ভেঙে ব্যবহার করতে শুরু করে, যা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণ হলো অতিরিক্ত তৃষ্ণা, প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ানো এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা।

৩. ক্যান্সার 
ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে শরীরে হরমোন এবং বিভিন্ন রসায়নিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে, যা শরীরের বিপাক হার বৃদ্ধি করে এবং অজ্ঞানভাবে ওজন কমে যেতে পারে। বিশেষ করে পাকস্থলী, পাকস্থলী, লাং, বা লিভার ক্যান্সার এই ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে তীব্র ক্লান্তি, ব্যথা এবং ত্বকের পরিবর্তনও থাকতে পারে।

৪. ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ 
এই রোগটি ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ হিসেবে পরিচিত, যেখানে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা এবং অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে শরীরের ক্যালোরি খরচ বেড়ে যায়, যার ফলে হঠাৎ ওজন কমে যেতে পারে। COPD এর অন্যান্য লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি এবং বুকের ব্যথা উপস্থিত থাকতে পারে।

৫. স্লিমিং সিনড্রোম
অথবা অপুষ্টির কারণে শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান না পাওয়ার ফলে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ওজন দ্রুত কমে যেতে পারে। স্লিমিং সিনড্রোম সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী অপুষ্টি, অল্প খাওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা বা অসুস্থতার কারণে ঘটে থাকে। এর ফলে শরীরের পেশী এবং চর্বি হ্রাস পায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, তাই যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগের কারণ শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন।

ফারুক

×