
ছবি: সংগৃহীত।
আমাদের খাদ্যাভ্যাস শুধু শরীরের কর্মক্ষমতাকেই প্রভাবিত করে না, এটি আমাদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সঠিক খাদ্য নির্বাচন। গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল—যেমন জাপানের ওকিনাওয়া, ইতালির সার্ডিনিয়া এবং গ্রিসের ইকারিয়া—যেখানে মানুষের গড় আয়ু তুলনামূলকভাবে বেশি, সেখানে বিশেষ কিছু খাবারের প্রচলন রয়েছে। দীর্ঘায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার যুক্ত করলে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করা সম্ভব।
দীর্ঘায়ুর জন্য সেরা খাবার
১. শাকসবজি ও ফলমূল
সবুজ শাক, গাজর, ব্রকলি, বীট, অ্যাভোকাডো, ব্লুবেরি ও ডুমুরের মতো ফলমূল প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এগুলো কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে ও দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
২. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ
স্যামন, ম্যাকেরেল ও সার্ডিনের মতো মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার
বাদাম, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ও কুমড়ার বীজ হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং দীর্ঘায়ুর জন্য কার্যকর।
৪. অলিভ অয়েল
ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত উপকারী। এটি দেহের প্রদাহ কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৫. লেগুমস বা ডালজাতীয় খাবার
মসুর, ছোলা, রাজমা এবং কালো ছোলার মতো ডাল প্রোটিন ও ফাইবারের চমৎকার উৎস, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো এবং দীর্ঘায়ু বাড়াতে সহায়ক।
৬. পূর্ণ শস্য
বাদামী চাল, ওটস, কুইনোয়া ও শস্যজাতীয় খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
৭. ফারমেন্টেড বা প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার
দই, কিমচি, কম্বুচা ও সাওয়ারক্রাউট অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য জরুরি।
দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই আজ থেকেই নিজের খাদ্য তালিকায় এই সুপারফুডগুলো যুক্ত করুন এবং সুস্থ, আনন্দময় ও দীর্ঘ জীবন উপভোগ করুন!
নুসরাত