
ছবি: সংগৃহীত
সকালে কীভাবে ঘুম থেকে উঠবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে আগের রাতের প্রস্তুতির ওপর। একটি শান্তিময় রাত এবং গুণগত মানের ঘুম আপনার মন-মেজাজ ও শারীরিক সুস্থতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর রাতের অভ্যাস মেনে চললে সকালে আরও প্রাণবন্ত, সতেজ ও সুখী অনুভব করা সম্ভব।
নিচে এমন ৭টি কার্যকর রাতের অভ্যাস দেওয়া হলো, যা প্রতিদিন সকালে আপনার দিনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে—
১. ঘুমানোর আগে ফোন দূরে রাখুন
মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভির স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কের মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা ঘুম আসতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সব ধরনের স্ক্রিন বন্ধ করুন।
২. দিনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
ঘুমানোর আগে তিনটি ভালো মুহূর্ত মনে করুন বা লিখে রাখুন, যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি মস্তিষ্ককে ইতিবাচক ভাবনায় অভ্যস্ত করবে এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেবে।
৩. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান
পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন ঘুমের জন্য একটি নিয়মিত ঘুমানোর রুটিন তৈরি করা জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে শুতে গেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি (বডি ক্লক) স্বাভাবিকভাবে কাজ করে, ফলে ঘুমের মান উন্নত হয়।
৪. ঘুমের আগে বই পড়ুন
একটি ভালো বই পড়ার অভ্যাস মনকে শান্ত করে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। তবে উত্তেজনাপূর্ণ বা রহস্যময় গল্পের বই না পড়াই ভালো, কারণ তা আপনার মনকে আরও সক্রিয় করে তুলতে পারে।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
ঘুমানোর আগে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস মানসিক চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ঘুমের জন্য মনকে প্রস্তুত করে।
৬. পরের দিনের পরিকল্পনা করুন
আগামী দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো একটি নোটবুকে লিখে রাখুন। এতে অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা দূর হবে, মানসিক স্বস্তি আসবে এবং সকালে গুছিয়ে দিন শুরু করা সহজ হবে।
৭. আরামদায়ক রাতের রুটিন গড়ে তুলুন
রাতে দ্রুত ও শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে কিছু রিল্যাক্সিং অভ্যাস গড়ে তুলুন, যেমন—গরম পানিতে গোসল, হালকা মিউজিক শোনা বা স্ট্রেচিং করা। এটি শরীর ও মনকে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করবে।
একটি ভালো সকাল শুরু হয় আগের রাত থেকেই। তাই এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে আপনার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন, প্রতিদিন সকালে আপনি আরও সুখী, উজ্জীবিত এবং উদ্যমী অনুভব করছেন।
কানন