ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজার কষ্ট কমাতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ৯ মার্চ ২০২৫

রোজার কষ্ট কমাতে যা করবেন

ছবি: প্রতীকী

রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিমগণ পুরো এক মাস রোজা রাখেন। তবে পুরোদিন নির্জলা থেকে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা সকলের জন্য সহজসাধ্য নয়। বিভিন্ন কারণে অনেকের জন্য রোজা রাখা বেশ কষ্টকর হতে পারে। যেমন গর্ভবতী নারী বা নবজাতকের মা, ডায়বেটিস রোগী বা অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রোজা রাখা সুস্থ মানুষদের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জিং।

সারাদিন না খেয়ে দিনের সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়। কষ্ট কমিয়ে রোজা সুষ্ঠভাবে রাখতে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। যেমন-

পানীয়: পিপাসা পাওয়া হলো শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ। তাই ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তেষ্টা না পেলেও বারবার পানীয় পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। ইফতারে পানীয় পান করে রোজা ভাঙা শুধুই ঐতিহ্যবাহী নয়, বরং শরীরের জন্যও উত্তম। পানি বা শরবতজাতীয় পানীয় পান করে রোজা ভাঙলে, শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কমে এবং খাবার খাওয়ার জন্য শরীর প্রস্তুত  হয়।

স্বাদবৈচিত্র‌্য: ইফতারে একই ধরনের খাবার বা প্রতিদিন একই খাদ্যতালিকা রাখবেন না। ইফতারে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবার রাখার চেষ্টা করুন। সারাদিন রোজা রাখায় শরীরে নানারকম পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন হয়। শস্যজাতীয় খাবার, সবজি, ফলমূল, চর্বিবিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি (জলপাই তেল, বাদাম তেল,  সূর্যমুখী তেল- এর মতো উদ্ভিজ্জ তেল) ইত্যাদি খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য প্রয়োজন হয়, তাই এই খাবারগুলো ইফতারে রাখার চেষ্টা করুন।

খাবারের পরিমাণ: খাবার খাওয়ার পর সে খাবার শরীরের জন্য যথেষ্ট কি না- তা বুঝতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই একবারে বেশি খাবার খাওয়া উচিত নয়। ক্ষুধা অনুভব করা এবং সে অনুযায়ী খাবার শরীরে সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয়। মনোযোগ দিয়ে খাবার খেলে, ইফতারে তৃপ্তি আসে। তাতে শুধু পেটই ভরে না, বরং শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপন্নও হয়।

শারীরিক ক্রিয়া: সারাদিন না খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্রভাব পড়ে। তবু, রোজা রেখে নিত্যদিনের রুটিন বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে কোনো কাজ থাকলে তা ফেলে রাখবেন না। অথবা কোনো কাজ না থাকায় যদি বাড়িতেই থাকতে হয়, অন্তত অল্প অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। যারা ব্যায়াম করেন, তারা ইফতারের পর ব্যায়াম করে দেখুন কেমন অনুভব হয়।

ভিন্নতা: প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্ন, তাই তাদের প্রয়োজন এবং সমস্যাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। খাবারের পছন্দ বা পরিশ্রমে দুর্বল হয়ে পড়ার মাত্রাও তাই একের থেকে অপরের ভিন্ন হয়। তাই কষ্ট যথাসাধ্য কমিয়ে সঠিকভাবে রোজা কীভাবে রাখা যায়, সেই পরামর্শের জন্য চিকিৎসক কিংবা ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। বিশেষ  করে যেসব ব্যক্তির দিনের বেলা ঔষধ  সেবন করতে হয়, তারা অবশ্যই কোনো সমাধান জেনে নিন। পানীয় বা খাবার ছাড়া ঔষধ খাওয়া যাবে কিনা অথবা দিনের বেলার ঔষধ না খেলে অসুবিধা হবে কিনা তা  জেনে নেওয়া ভালো। তবে রোজা রাখার সময় যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে তা অবহেলা করা উচিত নয়। 

শহীদ

×