ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক মানসিকতার জন্য চিরন্তন ১০টি অভ্যাস

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ৮ মার্চ ২০২৫

শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক মানসিকতার জন্য চিরন্তন ১০টি অভ্যাস

ছবি: সংগৃহীত

মহান ব্যক্তিরা মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন এবং এটি বজায় রাখতে কিছু সাধারণ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস অনুসরণ করেন। এই অভ্যাসগুলো মনোযোগ বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ কমায় এবং আবেগগত সুস্থতা নিশ্চিত করে। ফলে তারা দৈনন্দিন জীবনে স্থিতিস্থাপক, প্রেরণাদায়ী এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতে পারেন।

১. ভোরে ওঠা

মহান ব্যক্তিরা সকালে উঠে কিছু সময় একা কাটান, দিনের পরিকল্পনা করেন এবং ধ্যান করেন। এটি তাদের মনকে স্বচ্ছ রাখে, চাপ কমায় এবং দিনভর মনোযোগ বাড়ায়।

২. প্রতিদিন ধ্যান করা

ধ্যান মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে, উদ্বেগ হ্রাস করে এবং আবেগগত স্থিতিশীলতা বাড়ায়। এটি তাদের চাপপূর্ণ পরিস্থিতিতেও শান্ত ও দৃঢ় থাকতে সাহায্য করে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করা

ব্যায়াম এন্ডরফিন (হ্যাপি হরমোন) নিঃসরণ করে, মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে সফল ব্যক্তিরা উচ্চ শক্তি বজায় রাখতে পারেন এবং ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে সক্ষম হন।

৪. প্রতিদিন পড়াশোনা করা

পড়াশোনা জ্ঞান বিস্তৃত করে, মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়। এতে তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও দক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ হন।

৫. চিন্তা ও অনুভূতি লিপিবদ্ধ করা

চিন্তা, আইডিয়া এবং অভিজ্ঞতা লিখে রাখা মস্তিষ্কের স্বচ্ছতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায় এবং আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি আত্ম-উন্নয়নের জন্য সফল ব্যক্তিদের অন্যতম সাধারণ অভ্যাস।

৬. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা

দৈনন্দিন জীবনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়, নেতিবাচকতা কমে এবং মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে। কঠিন সময়েও সফল ব্যক্তিরা এই অভ্যাসের মাধ্যমে মানসিক শক্তি ধরে রাখেন।

৭. স্ক্রিন টাইম সীমিত করা

স্ক্রিন ব্যবহারের পরিমাণ কমালে ডিজিটাল ক্লান্তি হ্রাস পায়, মনোযোগ উন্নত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

৮. পর্যাপ্ত ও গুণগতমানের ঘুম

ভালো ঘুম মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি চাপপূর্ণ পরিস্থিতিতেও তাদের মানসিক স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৯. শখের চর্চা করা

সংগীত, চিত্রকলা বা খেলাধুলার মতো শখের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ চাপ কমায়, কল্পনাশক্তি বাড়ায় এবং মনকে সতেজ রাখে। এটি মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি কার্যকর উপায়।

১০. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা

পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা আবেগগত সমর্থন দেয়, একাকীত্ব দূর করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। সফল ব্যক্তিরা অনুপ্রেরণাদায়ী জীবনযাপনের জন্য এই অভ্যাস অনুসরণ করেন।

রাকিবুল

×