ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

ডিজিটাল ডিটক্স: স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ৭ মার্চ ২০২৫

ডিজিটাল ডিটক্স: স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সাথে সাথে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কাজ, বিনোদন, যোগাযোগ—সবকিছুতেই এখন স্মার্টফোনের ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং আসক্তি আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ডিজিটাল ডিটক্স হলো সেই অভ্যাস, যা মানুষকে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত রেখে মানসিক শান্তি ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

স্মার্টফোন আসক্তির কিছু লক্ষণ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, যেমন প্রতিনিয়ত ফোন চেক করা, অপ্রয়োজনীয়ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা, ফোন ছাড়া অস্বস্তি অনুভব করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা।

ডিজিটাল ডিটক্স করতে হলে কিছু অভ্যাস বদলানো জরুরি। নির্দিষ্ট সময় ফোন দূরে রাখা, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে ও সকালে প্রথম ঘন্টায় ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলা সাহায্য করতে পারে। ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা, অ্যাপ ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং মাঝে মাঝে প্রযুক্তিহীন দিন পালন করা ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।

ডিজিটাল ডিটক্সের ফলে মানুষ তাদের বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলোর প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারে। মানসিক চাপ কমে, ঘুমের মান উন্নত হয় এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিতভাবে ডিজিটাল ডিটক্স করেন, তারা বেশি সৃজনশীল হন এবং তাদের মনোযোগ শক্তি উন্নত হয়।

তবে হঠাৎ করে সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তি থেকে বিরত থাকা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে। ধাপে ধাপে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো ডিজিটাল ডিটক্সকে সফল করতে পারে।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও, সেটার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সময় মতো বিরতি নেওয়া এবং ডিজিটাল ডিটক্সের মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাত্রা গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

কানন

×