
ছবি: সংগৃহীত।
ওয়ারেন বাফেট শুধুমাত্র বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনিয়োগকারী নন, তিনি অসাধারণ নেতৃত্বগুণ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষমতার জন্যও পরিচিত। তাঁর ব্যক্তিত্ব, বিনয় ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দক্ষতা তাঁকে অনন্য করে তুলেছে। কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে শুধু দক্ষতা থাকলেই হয় না, প্রয়োজন মানুষের মন জয় করার ক্ষমতা। আর এই দক্ষতা রপ্ত করা গেলে কর্মস্থলে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও সহজ হয়ে যায়।
বিশ্বখ্যাত এই বিনিয়োগ গুরু কীভাবে কর্মক্ষেত্রে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক ওয়ারেন বাফেটের ১০টি কার্যকর কৌশল।
১. মনোযোগ দিয়ে শুনুন
বাফেট মনে করেন, ভালো নেতা বা সহকর্মী হতে হলে আগে ভালো শ্রোতা হতে হবে। যখন আপনি মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শোনেন, তখন তারা আপনাকে শ্রদ্ধা করে এবং আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে।
২. বিনয়ের সঙ্গে কথা বলুন
তিনি কঠিন বিষয়ও সহজ ও নম্রভাবে উপস্থাপন করেন। অহংকার না দেখিয়ে সবসময় সাধারণ ভাষায় কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. সত্যবাদী হন
বাফেটের মতে, বিশ্বাসযোগ্যতা কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তিনি যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা সবসময় রাখেন।
৪. প্রশংসা করতে শিখুন
তিনি বলেন, “সমালোচনার চেয়ে প্রশংসা অনেক বেশি শক্তিশালী।” তাই সহকর্মীদের সাফল্য ও ভালো কাজের প্রশংসা করুন।
৫. ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যেও ইতিবাচক থাকা একজন কর্মীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাফেট মনে করেন, আশাবাদী মানুষই দীর্ঘ মেয়াদে সফল হয়।
৬. কাজের জন্য ভালোবাসা গড়ে তুলুন
তিনি যা করেন, তা উপভোগ করেন। আপনার কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে তা সহকর্মীদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
৭. অন্যদের সাফল্যে আনন্দিত হন
বাফেট মনে করেন, একজন প্রকৃত নেতা অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত না হয়ে বরং আনন্দ অনুভব করেন।
৮. ধৈর্য ধরুন
কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু ধৈর্য হারালে সফল হওয়া সম্ভব নয়। বাফেটের মতে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে ধৈর্যধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৯. নম্রতা বজায় রাখুন
তিনি অগাধ সম্পদের মালিক হয়েও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। বিনয়ী আচরণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করে।
১০. শেখার মনোভাব রাখুন
ওয়ারেন বাফেট এখনো প্রতিদিন বই পড়েন এবং নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করেন। কর্মক্ষেত্রে শেখার প্রবণতা থাকলে আপনি দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন।
ওয়ারেন বাফেটের এই সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশলগুলো শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানুষের মন জয় করতে সহায়তা করে। এই গুণাবলিগুলো আত্মস্থ করতে পারলে আপনি কর্মজীবনে আরও সফল হতে পারবেন।
নুসরাত