
পবিত্র রমজান মাসে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরণের প্রভাবই সমাজে পরিলক্ষিত হয়।
ইতিবাচক ব্যবহার
রমজান মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইসলামিক জ্ঞান প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। অনেকেই কুরআন ও হাদিসের বাণী, ইফতার ও সেহরির সময়সূচি, ইসলামিক বক্তৃতা ও দোয়া শেয়ার করেন, যা অনেকের জন্যই উপকারী। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দান-সদকার উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য অনেকে এগিয়ে আসেন।
নেতিবাচক ব্যবহার
তবে রমজান মাসেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক দিকগুলো চোখে পড়ে। অনেকেই অহেতুক বিতর্কিত বিষয় পোস্ট করেন, যা ধর্মীয় উসকানি সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ইফতার ও সেহরির সাজানো ছবি পোস্ট করার প্রতিযোগিতা যেমন অযথা লোক দেখানোর প্রবণতা বাড়ায়, তেমনি অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, অপ্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করে ইবাদত থেকে মনোযোগ সরানোর বিষয়টিও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সমাধান কী?
রমজানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযমী হওয়া জরুরি। গঠনমূলক ও ইতিবাচক কন্টেন্ট শেয়ার করা এবং অহেতুক সময় নষ্ট না করে ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির দিকে মনোযোগ দেওয়াই উচিত।
রমজান একটি আত্মশুদ্ধির মাস, তাই প্রযুক্তিকে সদ্ব্যবহার করে এই মাসের শিক্ষা গ্রহণ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
রাজু