
প্রতীকী ছবি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারীদের কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কারণ বিভিন্ন সময়ে শরীরে হরমোনের ওঠানামা তাদের রক্তের শর্করার (গ্লুকোজ) পরিমাণে প্রভাব ফেলে। তাই পরিমিত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মানসিক চাপ কমানো এবং পর্যাপ্ত ঘুমও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
সুষম খাদ্যাভ্যাস নারীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সহায়ক। চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা যায়-
নারীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কেন আলাদা?
ডায়াবেটিস নারীদের উপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে। কারণ মাসিক চক্র, গর্ভাবস্থা এবং মেনোপজের সময় হরমোনের ওঠানামা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তোলে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের হৃদরোগ, পিসিওএস (PCOS) এবং বিপাকীয় পরিবর্তনের ঝুঁকি বেশি, যা তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-কৌশল প্রয়োজন, যা শুরু করা উচিত খাদ্যাভ্যাস থেকে।
সুষম খাদ্যাভ্যাস: সুষম রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি
সুষম খাদ্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পূর্বশর্ত। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।
- ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি: ব্রকলি, কুমড়ো, গাজর, পালং শাক—এগুলো গ্লুকোজ শোষণের গতি ধীর করে।
- প্রোটিন: মসুর ডাল, মটরশুঁটি, ডিম, মুরগি এবং মাছ—এগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
- সম্পূর্ণ শস্য: বাদামি চাল, যব, ওটস—এগুলো শরীরে শক্তি জোগায় এবং হঠাৎ শর্করা বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি: অ্যাভোকাডো, বাদাম—এগুলো ইনসুলিনকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
যেসব খাবার এড়ানো উচিত: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিশোধিত চিনি, এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট (শর্করা)—এগুলো রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
পর্যাপ্ত পানি পান: নারীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি, যা হজম প্রক্রিয়া এবং ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।
অন্যান্য জীবন-কৌশল
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ শুধু খাদ্যাভ্যাসের উপর নয়, এটি জীবনযাত্রার অভ্যাসের উপরও নির্ভর করে:
- মনোযোগ বাড়ানো এবং মানসিক চাপ কমানো: মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
- পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হরমোনাল ভারসাম্য এবং রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সহায়ক।
সূত্র: টাইমস এন্টারটেইনমেন্ট
রাকিব