
ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সুষম খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ শোষণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে বার্ধক্যে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
ম্যাগনেশিয়াম
ম্যাগনেশিয়াম শরীরে ৩০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কার্যপ্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় বাদাম, বীজ, শাকসবজি ও ডার্ক চকলেটে।
বি ভিটামিনসমূহ
বি ভিটামিন, বিশেষ করে বি ১২ ও ফলিক অ্যাসিড, নতুন কোষ তৈরিতে এবং স্নায়ু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বি ১২ শোষণের ক্ষমতা কমে যায়, বিশেষ করে যাঁরা পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় এমন ওষুধ সেবন করেন।
ক্যালসিয়াম
৫১ বছর বয়সের পর নারীদের প্রতিদিন ১,২০০ মিগ্রা এবং পুরুষদের ৭০ বছর বয়সের পর একই পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হলো দুধ, দই, পনির, শাকসবজি এবং বাদাম।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। এটি মূলত সূর্যালোক থেকে পাওয়া যায়, তবে বার্ধক্যে অনেকের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি উৎপাদন হয় না। ভিটামিন ডি-র উৎস তৈলাক্ত মাছ, দুধ ও সেরিয়াল।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং আলঝেইমারসহ স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি হ্রাস করে। চিয়া সিড ও আখরোটে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
জিংক
বার্ধক্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যেখানে জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। জিংকের উৎস লাল মাংস, বাদাম ও বীজ। তবে সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা জরুরি।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণ সুস্থ বার্ধক্যের জন্য অপরিহার্য।
শিলা ইসলাম