ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সফল হওয়ার জন্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কৌশল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ৩ মার্চ ২০২৫

সফল হওয়ার জন্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কৌশল

ছবি; সংগৃহীত

সফলতা লাভের জন্য ক্রমাগত পরিশ্রমের অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই অনেক আয়োজন করে শুরু করেন কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন না। ফলে সাফল্য রয়ে যায় অধরা।  

শুরু হোক ছোট পদক্ষেপে: ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শুরু করতে ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে। আমাদের শরীর ও মন বড় পরিবর্তন হঠাৎ করে গ্রহণ করতে পারে না। সে জন্য ছোট একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, সেটি যেন প্রতিদিনের চর্চার মধ্যে থাকে। যখন এই ছোট পদক্ষেপটি অভ্যাসে পরিণত হবে তখন আরেকটি ছোট পদক্ষেপ নিন।

আস্থা রাখুন কর্মপ্রক্রিয়ায়: প্রতিটি জিনিসের একটি নিয়ম বা প্রক্রিয়া আছে। যেমন কর্ম তেমন ফল। আপনি বরই গাছ লাগিয়ে আপেল পাবেন না। আবার আপেল গাছে লাগিয়ে পরিচর্যা করলে গাছে আপেলই ধরবে, অন্য কিছু নয়। সে জন্য সফলতা লাভের জন্য তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে অনুসরণ করতে শুরু করুন। অধৈর্য হবে না। কর্মপ্রক্রিয়ায় আস্থা রাখুন। যদি ধৈর্য ধরে না রাখতে পারেন হতাশ হয়ে অনুশীলন বাদ দিলেন। কিন্তু ছিলেন হয়তো সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

ছোট ছোট সাফল্যকে আমলে নিন: দৃশ্যমান সাফল্য না থাকলে কাজে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন। কোনো কাজে নিযুক্ত হলে সাফল্য আসেই। কিন্তু আমরা সেটি গ্রাহ্য করি না কারণ লক্ষ্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে। ছোট ছোট সাফল্য রয়ে যায় ধর্তব্যের বাইরে। কিন্তু ছোট ছোট সাফল্যকে আমলে নিলে আপনি উপলব্ধি করবেন আপনার পরিশ্রম বিফলে যাচ্ছে না। তখন কাজে ধারাবাহিক থাকার অনুপ্রেরণা পাবেন।

আবেগিক স্থিতিশীলতা জরুরি: ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবেগিক স্থিতিশীলতা জরুরি। যা-ই হোক না কেন দিনের নির্দিষ্ট কাজের মাঝে নিজের আবেগকে আসতে দেবেন না। আবেগ যেন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, আপনি আপনার আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করুন।

কাজকে ছোট ছোট ভাগ করে নিন: যেকোনো কাজকে কয়েকটি ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করলে হতোদ্যম হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফলে ধারাবাহিকতা রক্ষা পায়।

নিজেকে কোনো ছাড় নয়: অনুশীলনের ক্ষেত্রে মনে কখনোই আজও নয়, কাল এমন মনোভাব আসতে দেবেন না। রুটিন অনুসরণ করার ক্ষেত্রে নিজেকে কোনো ছাড় দেবেন না। রুটিন ধারাবাহিক থাকতে পারলে আজ হোক বা কাল, সাফল্য আপনি পাবেনই।

সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘসূত্রতা করবেন না: চলার পথে নানা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘসূত্রতার ফাঁদে পড়বেন না। আজ না কাল করতে থাকলে অনুশীলনে ব্যত্যয় ঘটবে। ধারাবাহিকতা লঙ্ঘিত হবে। চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন। যদি সিদ্ধান্ত ভুল হয় ও কাজে নেমে তা বুঝতে পারেন তাহলে সেটা বদলে আরেকটি সিদ্ধান্ত নিন। এভাবে চেষ্টা ও পুনঃচেষ্টার মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়া খুঁজে পাবেন। পথে নামলেই পথের সঠিক হদিস পাবেন।

জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন: নিজের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে নিজেকেই। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে পারছেন কি না, দৈনন্দিন রুটিন শতভাগ মেনে চলতে পারছেন কি না নিজেকে প্রশ্ন করুন। কেন

পারছেন না নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। আত্মসমালোচনা করুন। সংকটের সমাধান বের করুন, কাজে লাগান।

নিজের সাফল্য উদযাপন করুন: নিজের প্রতি শুধু কঠোর হলেই হবে না, সাফল্য লাভ করলে লক্ষ্য অর্জিত হলে নিজেকে পুরস্কৃতও করতে হবে। তাহলে মন প্রশিক্ষিত হবে। কঠোর অনুশীলনের একঘেঁয়ে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে আপত্তি করবে না।

সমমনাদের সঙ্গে থাকুন: একা স্রোতের বিরুদ্ধে লড়া যায় না। সবাই যখন ভোরে অকাতরে ঘুমাচ্ছে তখন একা একা প্রাতঃভ্রমণে যাওয়া কঠিনই বটে। কিন্তু যদি এমন একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হন যারা প্রতিদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে যায় তাহলে কষ্টটা আর কষ্ট মনে হবে না। অভিন্ন লক্ষ্য আছে এমন মানুষের সঙ্গে পথচলার চেষ্টা করুন।

শহীদ

×