
ছবি সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ সময়, যখন শরীরের পাশাপাশি আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভের জন্যও কঠোর সাধনা করে মুসলমানরা। তবে, রোজা রাখার সময় শরীরের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহেতু রমজানে ব্যায়াম করার একটি সঠিক সময়সূচি থাকা জরুরি, যা শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
রোজার সময় ব্যায়ামের উপকারিতা
রোজার সময় খাবারের সময় সীমাবদ্ধ থাকলেও শরীরের সঠিক যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করলে শরীরে শক্তির স্তর বাড়ে, মেটাবলিজম সচল থাকে এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। ব্যায়াম শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। তবে সঠিক সময় এবং উপযুক্ত পদ্ধতিতে ব্যায়াম করাটা জরুরি।
কখন ব্যায়াম করা উচিত?
রমজানে ব্যায়াম করার জন্য সঠিক সময় বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে, রোজা রাখার সময় সেহরি বা ইফতারের আগে বা পরে ব্যায়াম করা উত্তম। নিচে কিছু সময়সূচির পরামর্শ দেওয়া হলো:
ইফতার পর ব্যায়াম:
ইফতার করার পর ১-২ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়া উচিত, তারপর ব্যায়াম করা যেতে পারে। ইফতারের সময় খাবারের পর শরীর পুনরায় শক্তি পায় এবং এর পর ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। এই সময় ব্যায়াম করলে শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত হয় না এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
সেহরি পর ব্যায়াম:
সেহরির পরও কিছু হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে, তবে এ সময় খুব বেশি তীব্র ব্যায়াম না করাই উত্তম। হালকা হাঁটাচলা বা যোগব্যায়াম করা যেতে পারে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
মধ্যরাতে ব্যায়াম:
রমজানের শেষে, রাতের খাবারের পর ও ঘুমের আগে কিছু হালকা ব্যায়াম শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এ সময় সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার চাঙ্গা হতে পারে।
আশিক