
ছবিঃ সংগৃহীত
যদি আপনার পরিবারে চোখের সমস্যা (যেমন: মায়োপিয়া, অ্যাস্টিগমাটিজম) থেকে থাকে, তাহলে ছোটবেলা থেকেই কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
১. শিশুদের বাইরে খেলাধুলায় উৎসাহ দিন
আজকাল শিশুরা বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটায়, যা চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা প্রাকৃতিক আলোতে সময় কাটায়, তাদের চোখের সমস্যা কম হয়।
২. পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন
শিশুর খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত:
ভিটামিন এ: গাজর, মিষ্টি আলু, পালংশাক (রাতে ভালো দেখার জন্য)
ভিটামিন সি: কমলা, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম (চোখের রক্তনালীগুলো শক্তিশালী রাখে)
ওমেগা-৩: মাছ (ড্রাই আইস ও প্রদাহ কমায়)
প্রোটিন ও ভিটামিন ই: ডিম, দুধ, বাদাম (চোখের কোষকে রক্ষা করে)
৩. চোখকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন
নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চোখ ঘষা থেকে বিরত রাখুন, কারণ এতে জীবাণু ছড়াতে পারে।
চশমা থাকলে প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
সূর্যের আলোতে গেলে UV-প্রটেকশনযুক্ত চশমা পরতে বলুন।
৪. চোখের ব্যায়াম করান
পলক ফেলা: স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় বেশি পলক ফেলতে শেখান।
ফোকাস বদলানো: কাছের ও দূরের বস্তুতে একে একে ১০ সেকেন্ড করে তাকানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পামিং: হাত ঘষে গরম করে চোখের উপর রাখলে আরাম পাওয়া যায়।
চোখ ঘোরানো: ধীরে ধীরে চোখ উপরে-নিচে ও ডান-বামে ঘোরানো গেলে চাপ কমে।
৫. নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান
৬ মাস বয়সে প্রথম চোখ পরীক্ষা
৩ বছর বয়সে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা
৫-৬ বছর বয়সে স্কুল শুরুর আগে পরীক্ষা
এরপর প্রতি ১-২ বছর পর পর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। সঠিক অভ্যাস ও নিয়মিত যত্ন আপনার শিশুর চোখকে সুস্থ রাখবে এবং তাদের শেখার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।
মারিয়া