
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিস রোগীদের রোজার প্রস্তুতি হিসেবে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এ বিষয়ে মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দা মনি চৌধুরী (সহযোগী অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল) বলেন,
১. কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। এর কারণ বিগত একমাসের ব্লাড স্যুগারের চার্ট ছাড়া ডাক্তার বলতে পারবেন না সেই ডায়াবেটিস রোগী কীভাবে ঝুঁকি ছাড়া রোজা রাখতে পারবেন।
২. ব্লাড স্যুগার টেস্ট করতে হবে। যদি ব্লাড স্যুগার মোটামুটি লেভেল অর্থাৎ ৭ এর নিচে থাকে, তাহলে তিনি রোজা রাখতে পারবেন। তবে, যদি রোগীর আগে থেকেই অনেক জটিলতা থাকে যেমন: কিডনীর সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ, হার্টের রোগী অথবা ঘনঘন হাইপোগ্লাইসেমিক এপিসোড হয়, বা ব্লাড স্যুগার লেভেল অনেক বেড়ে যাচ্ছ তাহলে দুই একদিনের প্রস্তুতিতে তাদের রোজা রাখাটা নিরাপদ হবে না।
৩. রোজায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের চলমান ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ে আগেভাগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. সৈয়দা মনি চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই থ্রি ডি (শৃঙ্ক্ষলা, খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধ) মেনে চলতে হবে। এখানে, প্রথম দুটিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ওষুধ সেবন করলে ব্লাড স্যুগারটা অনেক বেশি ওঠানামা করে। এটিকে বলা হয় ব্রিটল ডায়াবেটিস। রমজানের সময়ও ডাক্তাররা এই পরামর্শই দিয়ে থাকেন।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস:
রোজায় খাদ্যের উপাদান নয় বরং খাদ্যগ্রহণের সময়টা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। চিনি, মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাববেন। শর্করাও খেতে হবে পরিমিত।
ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পাঁচবার খাবার খেতে হবে। ইফতারে অনেক বেশি না খাওয়া। রাতের খাবার কোনোভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। এতে এ্যাসিডিটি হতে পারে।
রোজায় ইফতারে পানি খেয়েই ব্লাড স্যুগারটা চেক করতে হবে। সেটি যদি ৭ এর নিচে থাকে সেক্ষেত্রে তিনি খেজুর ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খেতে পারবেন। তবে, সবচেয়ে ভালো হয় ঘরে তৈরি লবন পানি বা স্যালাইন। তেলজাতীয় খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে।
মায়মুনা