ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১

যে লক্ষণে বুঝবেন আপনি শারীরিকভাবে ফিট কি না

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৩:১২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যে লক্ষণে বুঝবেন আপনি শারীরিকভাবে ফিট কি না

ছবি: সংগৃহীত

আপনি কি শারীরিকভাবে ফিট?

শারীরিকভাবে সুস্থ ও নীরোগ থাকা মানেই ফিট থাকা নয়। শারীরিক ফিটনেসের ধারণাটি আরো ব্যাপক।

আপনি শারীরিকভাবে ফিট কি-না তা বলবে এই ৫ টি নির্দেশক। আপনি শারীরিকভাবে ফিট কি-না তা জানতে নিচের নির্দেশক গুলোর সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিন-

১. নীরবে ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করতে পারেন? ক্ষুধায় চোখ অন্ধকার হয়ে যায়? সময়মতো খাবার না পেলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়?

ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করতে পারা একটি অতিমানবীয় গুন হলেও একটু চেষ্টা করলেই আপনি তা আয়ত্ব করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কার্যকর চর্চা হতে পারে উপবাস। সপ্তাহে এক দুদিন উপবাস শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনাকে রাখবে চাঙ্গা ও সতেজ, বাড়াবে শারীরিক ফিটনেস।

২. দুই এক রাত নির্ঘুম থাকলে কি অসুস্থ হয়ে পড়েন? 

সুস্বাস্থ্যের জন্য সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়া ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কোনো বিকল্প নেই। তবে যুক্তিসঙ্গত কারণে দু একদিন এর ব্যত্যয় ঘটতে পারে। যেমন: পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়া, পেশাগত কাজ করা। এরকম দু একদিন না ঘুমালেই যদি শরীরে ম্যাজম্যাজ অনুভব করেন, তাহলে আপনাকে ফিটনেস বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শরীরকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যাতে এক দুইদিন রাত জাগলেও শরীরে তেমন প্রভাব না পড়ে।

৩. একটানা কতক্ষণ কাজ করতে পারেন?

শারীরিক ফিটনেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হলো একটানা বিরক্তিহীন ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষমতা।
সফল মানুষদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তাদের কারোরই কর্মঘন্ট ৯টা-৫টা ছিল না। বরং ঘড়ির কাটা থেকে এক কদম এগিয়েই থেকেছেন তারা। এক্ষেত্রে বলা যায় ভারতের মিসাইলম্যান খ্যাত বিজ্ঞানী, এপিজে আব্দুল কালামের কথা। দিনে না ঘুমিয়ে ১৮ ঘন্টা কাজ করে যেতেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে একজন প্রফেসর তাকে হুমকি দেন, তিন দিনের মাঝে প্রজেক্ট শেষ করতে না পারলে তার স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে। আব্দুল কালাম টানা তিনদিন পড়ে ছিলেন এই প্রজেক্টের উপর। অবশেষে তিনি সফল হয়েছেন, স্কলারশিপও বহাল থেকেছে।

৪. প্রায়শই কি ক্লান্ত বা ঘুমঘুম অনুভব করেন?

প্রায়শই ক্লান্ত বা ঘুমঘুম অনুভব করা শারীরিকভাবে আনফিট হবার এক নম্বর লক্ষণ। এর অন্যতম কারণ রাতে গভীর ঘুমের অভাব ও ভুল খাদ্যাভ্যাস। রাত জেগে টিভি, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে চোখ রাখা আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমাতে দেয় না। কারণ এই ডিভাইসগুলো থেকে বিচ্ছুরিত নীল আলো গভীর ঘুমের অন্তরায়।

অন্যদিকে, চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে তা ঘুম ব্যহত করে। কারণ, চিনি জাতীয় খাবার মস্তিষ্কে অরিজিন তৈরিতে বাধা দেয়। অরিজিন আমাদের সজাগ থাকতে সাহায্য করে। তাই বেশি বেশি চিনি গ্রহণ করলে ক্লান্ত বা ঘুমঘুম অনুভূত হয়।

৫. প্রায়শই কি অসুস্থ থাকেন?

বছরের ছয় মাসই জ্বর সর্দি-কাশি পেটের পীড়ায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নেহায়েতই কম না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয় তাহলে খুব অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শারীরিক ফিটনেসের অভাবের বড় নির্দেশক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরে যদি কারো তিনবার সর্দি লাগে ও তা সারতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় নেয় তাহলে তার ফিটনেসের অভাব রয়েছে।
আমেরিকান একাডেমি অব অ্যালার্জি এন্ড ইমিউনোলজির তথ্য অনুসারে কারো যদি বছরে দুবার এ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়,তাহলে সে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ভুগছে।

এই সমস্যাগুলো না থাকলে আপনি শারীরিকভাবে ফিট। তবে, এগুলো থাকলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও মেডিটেশনের মাধ্যমে ফিটনেস অর্জন করা যায়।

সূত্র: https://youtu.be/ux3EopSnZjU?si=UoyUnVIhn0N5TqKU

মায়মুনা

×