
ছবি: সংগৃহীত
জীবনযাপনের নিয়মে ছেলেদের অনেক বেশি সময় ঘরের বাইরে কাটাতে হয়। যানবাহনে চলাচল, ধুলো-ময়লা, অফিসের চাপ—সব মিলিয়ে সারাদিন দৌড়ঝাঁপ লেগেই থাকে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেও কর্মদক্ষতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত স্ট্যামিনা।
ক্লান্তি বা অবসাদ যদি কাজের মনোযোগ নষ্ট করে, তবে সেটাই হতে পারে "লো স্ট্যামিনা"র লক্ষণ। শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে অনেকেই জিমে যান, কিন্তু সঠিক খাবার না খেলে পরিশ্রমের সুফল পাওয়া কঠিন। তাই স্ট্যামিনা বাড়াতে কিছু বিশেষ খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
প্রোটিনের অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস হলো মুরগির মাংস, যা ফ্যাটের পরিমাণে কম এবং সহজেই হজমযোগ্য। সামুদ্রিক মাছও অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। যারা চকলেট খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য সুখবর—ডার্ক চকলেট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরকে চাঙা রাখে।
এছাড়াও, চেরি ফলের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ব্যায়ামের পর পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ডিম ও কলা স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য দারুণ কার্যকর, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও পটাশিয়াম। খেজুর ও দুধ বা দই নিয়মিত খেলে শক্তি বাড়ে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
শুধু প্রোটিন ও ফ্যাটই নয়, শরীরের জন্য ভিটামিন ও মিনারেলও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুমি ফল ও সবুজ শাকসবজি থেকে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ, যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। তা ছাড়া, ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জন্য ড্রাই ফ্রুটস হতে পারে চমৎকার একটি বিকল্প।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শুধু স্ট্যামিনা বাড়বে না, বরং দূরে থাকবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হৃদরোগ কিংবা ক্যানসারের মতো মারাত্মক অসুখও। তাই সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে চাইলে আজ থেকেই খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন!
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/f5KgoMfMc-Q?si=BdU0AZqB-FDlA-mC
এম.কে.