
সেল্ফ কেয়ার বা নিজেদের যত্ন নেয়ার ব্যাপারটা কি শুধু মেয়েদের একচেটিয়া? নিজের প্রতি খেয়াল রাখাটা আসলে সব মানুষের জন্যই দরকারি, ছেলে হোক বা মেয়ে। শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য নিজের যত্ন নেয়া ও কিছু ভালো প্র্যাকটিস করার কোন বিকল্প নেই, তা আজ থেকে শুরু করলে ক্ষতি কি? জেনে নিই ছেলেদের কিছু অভ্যাস, যেগুলো রপ্ত করলে শরীর, মন দুইই ভালো থাকবে।
ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। শারিরীক ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু শরীর নয়, মনের খোরাকও পাওয়া যায়। ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে জমে থাকা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ ঝেড়ে ফেলতে পারি। এছাড়াও ব্যায়ামের ফলে এন্ডরফিন নিঃসৃত হয়, যা মস্তিষ্কে ভালোলাগার অনুভুতি জাগায়।
পরিমিত ঘুম খুবই জরুরি। মানুষের প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘন্টার পূর্ণ ঘুম জরুরি, এই ঘুম না হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল ও ক্লান্ত, এছাড়াও কাজে মনোযোগ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ঘুমের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ নয় কোনভাবেই। প্রয়োজনে রুটিন বানিয়ে নিন, ঘুমানোর দুই ঘন্টা আগ থেকে ডিভাইস সরিয়ে ফেলুন। আধঘন্টা আগে উজ্জ্বল লাইট নিভিয়ে দিন।
বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিন। বর্তমান জীবনে ব্যস্ততার কারণে আমাদের প্রায়ই পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না। যখন মানদিক অবস্থা খারাপ থাকে, তখন একাকীত্ব হয়ে ওঠে আরো বড় শত্রু। তাই, সময় করে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন, সরাসরি বা ভার্চুয়ালে। খোঁজখবর নিন, নিজেদের জীবন সম্পর্কে আলোচনা করুন। এতে মন ফ্রেশ থাকবে, বন্ধুত্বও গাড় হবে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছেলেরা প্রায়ই নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করতে ভুলে যায়। সিরিয়াসলি ডাক্তারের কাছে না যাওয়া, ধুমপান, লম্বা সময় ধরে পরিশ্রম এগুলো শরীর খারাপ করে, এনার্জি কমিয়ে দেয় মানসিক অবস্থার উপরেও প্রভাব ফেলে। তাই, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন, ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন, পরিমাণমত পানি পান করুন, ধুমপান বা এ ধরণের ক্ষতিকর অভ্যাস বদলে ফেলার চেষ্টা করুন।
সেল্ফ কেয়ারে অপ্রস্তুত হবেন না। সেলফ কেয়ারকে আমরা শুধুমাত্র মেয়েদের কাজ বলেই মনে করি, সেটা একদমই ঠিক নয়। ছেলেদেরও দরকার আছে নিজেদের খেয়াল রাখা এবং যত্ন নেয়া। সেল্ফ কেয়ারের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ও শারিরীক স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকে। নিজের শরীরের যত্ন নেয়া, ফ্যাশন সেন্স ও লুকের দিকে নজর দেয়া, মেইনটেইন করা, এসব আপনার মাঝে কনফিডেন্স এনে দেবে, এবং আপনি নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ করবেন।